বানিয়াচংয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা ও বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ৩১ বার তোপধ্বনি ও বানিয়াচং বড়বাজারে অবস্থিত স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
দিনের প্রথম প্রহরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী,সহকারি কমিশানার (ভুমি) ইফফাতা আরা জাহান উর্মি, বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন,তদন্ত ওসি প্রজিত কুমার দাশ ।
পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মাষ্টার ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খানের নেতৃত্বে পুষ্পার্ঘ অপর্ণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাশেম চৌধুরী। এছাড়াও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও, পেশাজীবী, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুলিশ,আনসার, ভিডিপি, স্কাউট, ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন-সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক,পিআইও মলয় কুমার দাশ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানাসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তা, কর্মচারী,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক,প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, সুখী সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ এ আলোচ্য বিষয়ে সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসের গুরুত্ব অনুধাবন করে ছাত্র ছাত্রীদের সমাবেশ, হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।
বিকেলে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শপথ পাঠ সংসদ ভবন থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠানটি বড়ো পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করে উপজেলা প্রশাসন ।
সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অন্ষ্ঠুানে সংগীত পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ আইডল ২য় রানার্সআপ ও জি বাংলা চ্যানেলের সারেগামাপা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী মন্টি সিনহাসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।