কুড়িগ্রামে সুইডেন সরকারের অর্থায়নে অক্সফ্যাম বাংলাদেশের সহযোগীতায় গণ উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত ট্রোসা প্রকল্পের উদ্যোগে ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় বসবাসকারী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের জীবনের সমস্যা সংকট চিহ্নিকরণ এবং সমস্যা সংকট থেকে উত্তরণের উপায় বের করার লক্ষ্যে দিন ব্যাপী নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ শে ডিসেম্বর শুক্রবার ট্রেডেস হোমস বাংলাদেশ, কুড়িগ্রাম এর হল রুমে এই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের ট্রোসা প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শাহনাজ পারভীন, প্রকল্প কর্মকর্তা বখতিয়ার হোসেন, রমনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি ভোন্দল চন্দ্র দাস, আলোর সন্ধানে (সিবিও) সভাপতি লাইজু আক্তার, নর্থ সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফাহিম ফয়সালসহ ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার জেলে, কৃষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, নৌকার মালিক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বৃন্দ।
নাগরিক সংলাপে বক্তারা বলেন, নদী ভাঙ্গনের কারণে বসতভিটা সহ আবাদী জমি নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে, ফলে সহায় সম্বল হারিয়ে মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নদীর বিভিন্ন প্রাণী যেমন- মাছ, শুশুক, কচ্ছপ হারিয়ে যাচ্ছে এবং নদীর জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বন্যার প্রকপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।নদীর নাব্যতা নষ্ট হওয়ার কারণে সারা বছর নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
মৎসজীবি সমিতির সভাপতি ভোন্দল চন্দ্র বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদীতে মাছের কোন ব্যস্থাপনা না থাকার কারণে নদীতে মাছের পরিমাণ কমে গেছে, যার ফলে জেলেদের জীবন সংকটের মধ্যে পড়েছে।অবৈধ দখল দারিত্ব এবং পেশী শক্তির প্রভাবে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি জেলেদের মাছ এবং মাছ ধরার সরঞ্জামাদী লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও কারেন্ট জাল এবং অবৈধ জালের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ঐতিহ্যগতভাবে যারা জেলে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।এ সব সমস্যা থেকে পরিত্রানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি শুভ দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।