কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় কয়েলের আগুন থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক কৃষকের বসতবাড়িতে থাকা চারটি অাধাপাকা টিনশেডের বসত ঘর, একটি গোয়াল ঘর, একটি রান্না ঘর, ১ লাখ ৫০ হাজার জমানো টাকা, ৪০-৪৫ মন ধান, ২০-২৫টি হাঁস-মুরগিসহ বসতবাড়ির যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে। এসময় গোয়াল ঘরে থাকা একটি ষাড় গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে। এতে তার ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) ভোরে উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের কৃষক নুর মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মত গোয়াল ঘরে কয়েল লাগিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে নুর মিয়ার পরিবার। শুক্রবার ভোরে গোয়াল ঘরে অাগুনের অালো দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার করে পরিবারের লোকজন। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে অাগুন নেভাতে শুরু করে। এসময় অাগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পাশাপাশি থাকা টিনশেডের অাধাপাকা ৪টি বসত ঘর, একটি রান্না ঘর, একটি খড়ের পুঞ্জ, বসতবাড়ির যাবতীয় জিনিস পত্র, জমানো ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪০-৪৫ মন ধান, ২০-২৫টি হাঁস-মুরগি, গোয়াল ঘরসহ গোয়াল ঘরে থাকা একটি ষাড় গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হাসু নামের এক প্রতিবেশী জানান, ভোরে হঠাৎ চিৎকার শুনতে পেয়ে নুর মিয়ার বাড়িতে অাগুন দেখতে পাই। আগুনে নুর মিয়ার বাড়ীর সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন জানান, নুর মিয়া একজন কৃষক ও বর্গাচাষী। কয়েলের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডে একটি ষাড় গরু, ৬টি ঘর সহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে তার ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার অালী সাজ্জাদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে অাগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কয়েলের অাগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি জানিয়েছে।