কুড়িগ্রামে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দিন দিন জমে উঠেছে পশুর হাট বাজার।অনেকে কোরবানির করার জন্য খামার কিংবা কৃষকের বাড়ি থেকে গরু কিনে নিচ্ছেন।আবার কেউ ভালো দাম পেতে জেলা শহর ও বাইরে গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।এবারে গরুর মাংসের দাম ভালো হওয়ায় দাম ভালো পাওয়ার আশার আলো দেখছেন গরুর খামারিরা।তবে দফায় দফায় বন্যায় ঈদ আনন্দ ম্লান হওয়ার শঙ্কায় খামারীরা গরুর দাম নিয়ে আছেন দুঃশ্চিন্তায়।তবে ছোট খামারি পারুল বেগমের পালন করা রাজার হাটের রাজার দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।ন্তায়।তবে ছোট খামারি পারুল বেগমের পালন করা রাজার হাটের রাজার দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে,কুড়িগ্রাম রাজার হাট উপজেলার চাকিরপাশা ইউনিয়নের পাঠক পাড়া গ্রামের পারুল বেগমের ৮টি গরু নিয়ে একটি ছোট খামার।তার এ ছোট খামারে বেড়ে উঠা একটি গরু নাম রেখেছেন ‘কিং অব কুড়িগ্রাম’ অর্থাৎ ‘কুড়িগ্রামের রাজা’।শুধু নামেই রাজা নয় ১ হাজার কেজি ওজনের এই রাজার দামও হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।প্রতিদিনই ‘কুড়িগ্রামের রাজা’কে দেখতে, কেউবা কিনতে লোকজন ভীড় করছেন রাজার হাটের পারুল বেগমের খামারে।
পারুল বেগমের খামারে সাড়ে ৩বছর পূর্বে একটি হলষ্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী থেকে জন্ম নেয় একটি বাছুর।খামারে ক্রমাগতভাবে বাছুরটি বাড়তে থাকে। বর্তমানে বাছুরটি বেড়ে একটি বিশাল ষাড়ে পরিনত হওয়ায় খামার মালিক পারুল বেগম ওই ষাড়টির নাম রেখেছেন“কিং অব কুড়িগ্রাম” অর্থ্যাৎ কুড়িগ্রামের রাজা।
খামারি পারুল বেগমের ছেলে রিয়াদ বলেন,কুড়িগ্রামের রাজাকে এখনো বাজারে উঠাই নি। বাড়িতেই এর দাম উঠেছে ৬লক্ষ টাকা,তবে ঈদের বাজারে এটি ১৫লক্ষ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
পারুল বেগম জানান,আমার খামার থেকে এর আগেও একাধিক ষাড় বিক্রি করেছিলাম,তবে এটি এত বিশাল আকৃতির হবে বুঝতেও পারিনি। বর্তমানে কুড়িগ্রামের রাজা নামের এই ষাড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ১হাজার কেজি। প্রতিদিন ১০কেজি দানাদার খাদ্য সহ খড় ও কাঁচাঘাস খাওয়াতে দিনে ৩থেকে সাড়ে ৩শ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হচ্ছে।গরু ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে রাজার দাম ৬ লাখ পর্যন্ত বলেছেন। আমি আমা করছি ঈদের বাজারে ১৫ টাকায় বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন পবিত্র কুমার বলেন, হলষ্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাড় শুধু হাজার কেজি না,এর চেয়েও বড় হতে পার।আমরা এই ষাড়টিকে ফিতা দিয়ে মেপে অনুমান করেছি এটি ১হাজার কেজির মতো হবে।