কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিয়ে করতে এসে জনতার হাতে লাঞ্ছিত হওয়া সেই আলোচিত ঠাকুরগাঁও জেলার রাণী শংকৈল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ইসকে আব্দুল্লাহ (৫৪) অবশেষে রৌমারী উপজেলার লিপি খাতুন নামের ওই তরুণীকে বিয়ে করেছেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের (১৬ আগস্ট) কুড়িগ্রাম নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে বিয়ে বন্ধনে আবব্ধ হয়েছেন তারা। এতে ওই কর্মকর্তার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে ইশকে আব্দুল্লাহ। তিনি দিনাজপুর পৌরশহরের মুদি পাড়া গ্রামে মৃত হাফিজ উদ্দিন ছেলে। এদিকে ওই কর্মকর্তার স্ত্রী মোছাঃ লিপি খাতুন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চৎলাকান্দা গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে উল্লেখ করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।
খাদ্য কর্মকর্তা ইসকে আব্দুলাহ দিনাজপুর সদরের সুইহারী (খালপাড়া) গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণী শংকৈল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে
ওই খাদ্য কর্মকর্তার বড় ভাই ওবায়দুর রহমান বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ১৬ তারিখ আমার ভাই ইশকে আব্দুল্লাহ রৌমারী উপজেলার লিপি খাতুনকে কুড়িগ্রাম নোটারি পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বর্তমানে তারা একসাথে বসবাস করছেন।
খাদ্য কর্মকর্তা ইশকে আব্দুল্লাহ বলেন, তার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি সহ দুই পরিবারের সমঝোতায় বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ এই খাদ্য কর্মকর্তা প্রেমের টানে গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) সন্ধ্যার দিকে তিন সদস্যের বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার লিপি খাতুন নামের এক তরুণীর বাড়িতে আসেন। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না থাকার কারণে সেদিনেই স্থানীয় জনতার হাতে লাঞ্ছিত হন তিনি। অবশেষে বিয়ে না করেই চলে আসেন। পরে অবশ্য নোটারি পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধনে আবব্ধ হন তারা। এই খাদ্য কর্মকর্তা ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত বলে জানা গেছে।