কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় কুড়িগ্রাম পৌরসভার সাড়ে চার কোটিরও বেশি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো), কুড়িগ্রাম কার্যালয়।
নেসকো’র তথ্য অনুযায়ী,কুড়িগ্রাম পৌরসভার মোট বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমান ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।এর মধ্যে পানি শোধনাগারের বিদ্যুত বিল বকেয়া পড়েছে ৭০ লাখ টাকার উপরে।
কুড়িগ্রাম পৌর সভা সুত্রে জানা যায় , পৌরসভায় যে রাজস্ব আয় হয় তা দিয়ে পৌরসভার কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার পর অবশিষ্ঠ কিছুই থাকে না।এছাড়া সব খাত থেকে রাজস্ব আদায় ঠিকমত হয় না। পৌরসভার অধীনে হাট বাজার দোকানপাট থেকে নিয়মত ভাড়া আদায় হচ্ছে না।এর ফলে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান পৌর কর্তৃপক্ষ।কুড়িগ্রাম পৌর সভার পানি পরিশোধনাগার, বাস স্টান্ড, সড়ক বাতি ও পৌর অডিটোরিয়ামের মোট ২২ টি হিসাব নম্বর থাকলেও সেগুলো হতে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয় না।
পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে নেসকো, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুল ইসলাম সেলিম বলেন, কুড়িগ্রামের প্রায় সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো গত জুন মাসে তাদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছে। কিন্তু কুড়িগ্রাম পৌরসভার বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া রয়েছে যা সাড়ে চার কোটি ৫৯ লাখ টাকার উপরে।গত ২০১৯_২০২০ অর্থ বছরে জুন মাসে ১০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করলেও অবশিষ্ট বিল এখনো বকেয়া রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন,প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের চিঠি পৌর সভা বরাবর দেয়া হলেও নিয়মিত বিল পরিশোধের বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
কুড়িগ্রাম পৌর সভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এস এম মাজাহারুল আনোয়ার বলেন,আমি নতুন এসেছি।পৌর সভার অন্তর্ভুক্ত বিগত মিটার ছিল নষ্ট ও অকোজো। আমরা নতুন মিটার স্থাপন করেছি। বিদ্যুৎ বিল শীট ও মিটার রিডিং দেখতেছি।আগের তুলনায় বর্তমান বিদ্যুৎ বিল সঠিক আসছে। গত মেয়রের সময় ২ কোটি টাকার উপরে বিল বকেয়া ছিল।আমরা চেষ্টা করছি এখন থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধ করার।