November 22, 2024, 1:10 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ বিতরণে স্বজনপ্রীতি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও সন্তানকে হেনস্থা করার অভিযোগ।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৩, ২০২২
  • 222 দেখুন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ বিতরণে স্বজনপ্রীতি এবং মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও সন্তানকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে ভূক্তভোগীরা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ(সীল মোহর যুক্ত) বিভিন্ন দপ্তরে কাছে আবেদন করেছেন।

উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্ৰামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ছোবেদ আলীর স্ত্রী মোমেনা বেওয়া লিখিত অভিযোগে জানান, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার( ইউএনও) দপ্তর থেকে গত ১ নভেম্বর তাঁর মৃত স্বামীর ডিজিটাল সনদ গ্ৰহন করার বার্তা দেওয়া হয়। সে মোতাবেক তিনি তার ছোট ছেলে বাদল মিয়া সাথে নিয়ে সকাল ১০ টায় ইউএনও অফিসে আসেন। ইউএনওর দপ্তরে সনদ বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান। সারাদিন অপেক্ষার পর তিনি জানান, আজ নয় পরের দিন আস্তে হবে। এভাবে পরের দিনও কেটে যায়। তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার আসলে দীর্ঘ অপেক্ষার পর জানান সনদ তার সৎ পুত্র নুর আমিনকে দেওয়া হয়েছে। এতে তার ছেলে প্রতিবাদ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে দ্বিতল ভবনের ইউএনওর কক্ষ থেকে মারপিট করে বের করে দেন। তিনি নিজে এর প্রতিবাদ করলে তিনি নিজে তার ছেলকে ঘাড় ধরে নীচে নামিয়ে দেন। চোখের সামনে নিজের ছেলের এই অবস্থা দেখে তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন পরেন। উপস্থিত জনতা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তিনি আরও বলেন, সনদ বিতরণ ইউরো অফিসের করার কথা থাকলেও সাবেক কমান্ডার কে দিয়ে বিতরণ করায় তিনি স্বজনপ্রীতি করে অনেকের আশ্রয় নিয়েছেন আমার সঙ্গে তোমার কথা থাকলেও আমাকে না দিয়ে আমার সৎপত্তিকে সনদ দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। সাবেক এই কমান্ডার দীর্ঘদিন হতে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সমবায় সমিতির নামে টাকা তুলে টাকার পাহাড় গড়েছেন। আমিও সেই সমিতির একজন সদস্য সমিতির নামে আয় ব্যায়ের হিসাব আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তিনি প্রায় ৪শত মুক্তিযোদ্ধাকে তার এই সমিতির সদস্য করে অনেকটা জিম্মি করে রেখেছেন। সমিতির সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার পূর্বে সদস্যদের সেক্স বই তিনি জমা নিতেন। টাকা তুলে সমিতির মাসিক চাঁদা নিতেন। এসব টাকা দিয়ে তিনি ব্যবসায় খাটাতেন। এসব টাকার হিসাব আজ পর্যন্ত দেননি। গত ২০ বছর যাবৎ তিনি বিভিন্ন সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কম্পিউটারের দায়িত্ব পালন করেন এ কারণে বর্তমান প্রশাসনের তিনি প্রভাব বিস্তার করে তাঁর হীন স্বার্থ কায়েম করে চলেছেন।

বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুজিবুর রহমান বলেন,অভিযোগকারী মমেনা বেওয়া ওনাদের পারিবারিক দ্বন্ধের কারনে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করেছে।যা করা হয়েছে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে।ফুলবাড়িতে আমি কোন চিটারি বাটপারি কাজ করেছি এমন অভিযোগ কেউ বলতে পারবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস জানান, তিনি এখনো অভিযোগ পাননি, পেলে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102