দীর্ঘ ৮ বছর পর বর্নাঢ্য আয়োজনে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহাজাহান খান। এই আয়োজনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনার পাশাপাশি ব্যানার ফেস্টুন ও লিফটের বর্নিল সাজে সাঁজছে রৌমারীর রাস্তাঘাটসহ পুরো শহর।তবে দীর্ঘ ৮ বছর পর এ সম্মেলনে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে নুতুন নেতা নির্বাচন করার দাবীতে জোট বেধেছে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা।।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রৌমারী উপজেলার সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পেসিডিয়াম সদস্য,সাবেক মন্ত্রী শাহাজাহান খান,বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফিক,কেন্দ্রীয় সদস্য সফুরা বেগম।উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৮ বছর হচ্ছে আজকের সম্মেলন।এই সম্মেলনে সভাপতি পদে তিন জন ও সম্পাদক পদে চারজনের নাম শোনা যাচ্ছে।। সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি জাকির হোসেন ছাড়াও অন্যদুজন হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক ফজলুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এডভোকেট মাসুম ইকবালের নাম শোনা যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে রেজাউল করিম মিনু, সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজু আহমেদ খোকা,ও শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।তবে
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেছেন, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ।এই সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব আসার অপেক্ষায় আছেন নেতাকর্মীরা।তবে তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ ৮ বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল ইসলাম মিনু ছিলেন একজন বিছিন্ন নেতা।জন সাধারণ ও নেতাকর্মীদের সাথে বিছিন্ন যোগাযোগ থাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও সরকারি দলের দূর্নাম উঠে জনসাধারণের মাঝে। কেননা রেজাউল ইসলাম মিনু নৌকা প্রতিক নিয়ে উপজেলা নির্বাচন করলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।সরকারি দলের হয়েও পরাজয়ের সিরিয়ালেও হন ৪র্থ। এতে যেমন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে তেমনি নেতাকর্মীদের মাঝে মিনুকে নিয়ে চলছে বিরুপ মতভেদ।উপজেলায় পদ নিয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন রাজধানীতে। বসন্তের কোকিলের মত মাসে ৩/৪ এসে আবার চলে যান।সরকারি দলের সুযোগ সুবিধা মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের না দিয়ে স্বজনদের দিয়ে নিজের আখেড় গোছান এই নেতা।এছাড়া দলের প্রভাব খাটিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ও জমি বেদখল করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অসংখ্য অভিযোগে অভিযুক্ত এই নেতা।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, চাকুরী দেয়ার নামে ও আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ব্যাক্তির কাছে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন তিনি।এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে দলের প্রভাব,মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে তাদের বিতাড়িত করার হাজারো অভিযোগ রয়েছে মোঃ রেজাউল ইসলাম মিনুর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন,তৃনমুল পর্যায় থেকে উঠে আসা সৎ ত্যাগী ও দলের এক নিষ্ঠবান যোগ্য ব্যাক্তিরাই আসুক এটা সবারই চাওয়া।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে পুরন ও দেশকে আরো গতিশীল করতে যোগ্য ব্যাক্তিরাই এ সম্মেলনে পদ পদবি পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।