November 22, 2024, 8:22 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

হবিগঞ্জে তিন উপজেলা মুক্ত দিবস আজ

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
  • 197 দেখুন

হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ আজ ৬-ডিসেম্বর একাত্তরের এই দিনে, শীতের সকালে সূর্যের রক্তিম আভা ছড়িয়েছিল হানাদার মুক্ত হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ ও চুনারুঘাটের আলো-বাতাসে। আজ এ তিন উপজেলার মুক্ত দিবস স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর শোনার জন্য রেডিওতে কান পেতেছিলেন হবিগঞ্জবাসী। এর ক’দিন আগেই প্রচণ্ড গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দিয়েছিলেন তাদের আগমনী বার্তা। এরপর ৬ ডিসেম্বর শীতের সকালে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে জেলার রাস্তায় বিজয় উল্লাস করেন তারা। শহরবাসী অভিবাদন জানান জাতির সূর্য সন্তানদের। হবিগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্ত করতে নেতৃত্বদানকারী অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স নায়েক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদ জানান।

তিন নম্বর সেক্টরের একটি প্লাটুন ২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ শহরের পাশে এসে আস্তানা গড়ে ও পাকিস্তানের দুইজন দালালকে হত্যা করে। পরে ৫ ডিসেম্বর ঘেরাও করা হয় হবিগঞ্জ শহর। তখন পাক সেনার পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে তারা শহরে প্রবেশ করেন এবং থানায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন নবীগঞ্জ উপজেলায় তিনদিনের সম্মুখ যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ আগে পাকিস্তানী সেনাদের সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এদিন থানা ভবনে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। নবীগঞ্জ থানায় পাক বাহিনীর ক্যাম্প লক্ষ্য করে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা।

৩ ডিসেম্বর রাত থেকে চলে গুলিবিনিময় ৪-ডিসেম্বর থানা ভবনের উত্তর দিকে রাজনগর গ্রামের নিকট থেকে পাক বাহিনীর উপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালানো হয়। এ যুদ্ধে কিশোর বীর মুক্তিযোদ্ধা ধ্রুব শহীদ হন ও কয়েকজন আহত হন। ৫ ডিসেম্বর রাতে শাখা বরাক নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রায় ৩ ঘণ্টা প্রচণ্ড যুদ্ধের পর পালিয়ে যায় পাক বাহিনী। পরদিন ৬ ডিসেম্বর মুক্ত ঘোষণা করা হয় নবীগঞ্জকে এ ছাড়া চুনারুঘাট উপজেলাও হানাদার মুক্ত হয়েছিল ৬ ডিসেম্বর। ৫ ডিসেম্বর রাতে চুনারুঘাটের সীমান্ত এলাকা থেকে শত শত বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলার দিকে সাড়াশি আক্রমণ করেন।

৬-ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানি দোসর রাজাকার, আলবদর আল শামস উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে পালাতে শুরু করে পাক সেনারা শ্রীমঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে তৎকালীন সিও অফিসের সামনে স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন মরহুম মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়া চৌধুরী, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছামাদ পিসিও মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মন্নান সরকারসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102