বানিয়াচংয়ে পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র হত্যার রহস্য উদঘাটন করে পাষন্ড পিতাসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং (সুরাবই) গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২নং সুজাতপুর ইউনিয়নের খাগালিয়া (ইসলামপুর) গ্রামে গত ১২ মার্চ পারিবারিক কলহের জেরে পাষন্ড পিতা আব্দুল মন্নাফ (৬০) তার দ্বিতীয় সংসারের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম ঝন্টু (২৩), জাহিদুল ইসলাম (১৭) এবং দ্বিতীয় স্ত্রী ছেনু আক্তার (৫০)-এর সহায়তায় রাত অনুমানিক দেড়টার দিকে নিজ বসত ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় দ্বিতীয় সংসারের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (২০) কে ঘুম থেকে তুলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কাঠের চেলী ও কাপড় কাটার কেঁচি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কান কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পর তারা জাহাঙ্গীর মিয়া (২০)-এর লাশ বাড়ীর অদূরে ধান ক্ষেতের মধ্যে গোপন করে রাখে।
৩ দিন পর লাশ পঁচে দূর্গন্ধ বের হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর মিয়া (২০)-এর সৎ মা ছেনু আক্তার (৫০) কে গ্রেফতার করলে সে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা প্রদান করে আদালতে ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তার জবানবন্দীর আলোকে খুনের ঘটনায় জড়িত আসামী পাষন্ড পিতা আব্দুল মন্নাফ, সৎ ভাই মোঃ সাইদুল ইসলাম ঝন্টু ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু জাহিদুল ইসলামকে গত ৮ মে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে-এর দিকনির্দেশনায় ওসি অজয় চন্দ্র দেব-এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ জসিম উদ্দিন ও এসআই মোঃ হাবিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং (সুরাবই) এলাকা হতে গ্রেফতার করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে আটক আসামীদের মঙ্গলবার(৯ মে) দুপুরে বিচারার্থে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব গণমাধ্যম কে জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।