বানিয়াচংয়ে সখিনা খাতুন (৪৫) নামে এক নারীর হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
গত রবিবার (১৯জুন) সন্ধ্যায় বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সখিনা খাতুনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে অ্যাডভোকেট শেখ শুয়াইব আহমদ। সখিনা খাতুন উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের অন্তর্গত সাগর দিঘির পূর্ব পাড় গ্রামের মৃত এজাবত খার মেয়ে।
লিখিত বক্তব্যে অ্যাড.শুয়াইব আহমেদ বলেন, আমি বাড়িতে কোন কার্যক্রম করতে পারি না সখিনা খাতুন আমাকে নানাভাবে সমস্যা সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয় অশ্লীল গালাগাল এবং যে কোন সময় নারী নির্যাতন মামলা, ধর্ষণসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবার হুমকি প্রদর্শন করে।
প্রায় এক বছর আগে বাড়ির সামনে আমার মালিকানাধীন ছোট একটি পুকুর ভরাট করতে গেলে সখিনা খাতুন গায়ে পড়ে ঝগড়ার উদ্দেশ্যে বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে গত ৩০/০৩/২০২১ খ্রি. হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবরে সে অভিযোগ দাখিল করে আমিসহ তৌহিদ মিয়া এবং অমৃত খার বিরুদ্ধে। পুলিশ সুপার বানিয়াচং থানার তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ হাবিবুর রহমান প্রকাশ্য তদন্ত করে রিপোর্ট দেন, আমার ভরাটকৃত পুকুরে তার কোন অংশ নেই। আরও বলেন, সে খুব-ই খারাপ প্রকৃতির মহিলা এবং অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
রিপোর্ট স্মারক নং- ভি/২২০৮ তাং০১/০৪/২০২১ খ্রি.। তখন সখিনা খাতুন অঙ্গিকারনামা দেয়, আমাকে আর কোন অশ্লিল ভাষায় কোন গালাগাল ও কোন কার্যক্রমে বাধা প্রদান করবে না ইত্যাদি। কিছুদিন যেতে না যেতেই ওই সুচতুর মহিলা আরেকটি অভিযোগ দাখিল করে পুলিশ সুপার বরাবরে।
তার অভিযোগ আমি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করি। যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বানিয়াচং থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ হাবিবুর রহমান বিপি ৬৬৮৫০৯৫৯০২ প্রকাশ্য তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দেন, মহিলা খারাপ লোক।
সে জোরপূর্বক রহমত খা, আহমদ খা গংদের জমি দখল করে রেখেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এর বিচারও মানেনি এবং আইনজীবী শুয়াইব আহমদ এর উপর অভিযোগ ও মিথ্যা বলে প্রকাশ পায়।
রিপোর্ট স্মারক নং- ভি/৩৫২৬ তাং-১৫ /০৬/ ২১ খ্রি. এবং তার বিরুদ্ধে গত ২০/০৬/২১ খ্রি. আমার এতিম ভাতিজি শাহনাজ মালার মা এর বর্গা দেয়া ছাগল আত্মসাৎ করেছে। এর বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও দাখিল করি। তার বিরুদ্ধে আমি থানায় জিডিও করেছি।
জিডি নং-২৫৮ তাং-০৬/০৬/২১ খ্রি.। সখিনা খাতুন মহল্লার বিচার পঞ্চায়েত মানে না এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মহল্লার একটি রেজুলেশনও আছে। তার যন্ত্রণায় ৭/৮টি পরিবার খুব-ই অতিষ্ট। সে হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী। এ ছাড়াও দ্রুত বিচার মামলাসহ আরও ৪টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এহেন অবস্থায় বেপরোয়া সখিনা খাতুনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি প্রশাসনের কাছে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ রঞ্জন দেব, রহমত খা, আবু ইউসুফ, সাহিদ মিয়া ও সাহেদ চৌধুরী।