নরসিংদীর মনোহরদীর ব্যস্ততম একটি পাকা রাস্তায় মাত্র ৭ কিলোমিটারের মধ্যে ২১টি বিপজ্জনক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পথিপার্শ্বের এসব গর্তের কারণে চলাচলকারী পথচারীদের মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা।
মনোহরদী-ড্রেনেরঘাট পাকা রাস্তাটি বছর কয় আগে পুনঃনির্মিত ও প্রশস্তকরনের কাজ সমাপ্ত হয়। এরই মধ্যে গত বর্ষার অতি বর্ষনে রাস্থাটির পশ্চিম পার্শ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে নীচের মাটি আগলা হয়ে সরে যায। এতে রাস্তার ধারে ভাঙ্গনে গভীর বিপজ্জনক গর্তের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিন পরিদর্শনে, মনোহরদী থেকে নোয়াকান্দী পর্যন্ত মাত্র ৭ কিঃমিঃ রাস্তায় এ রকম ছোটবড়ো ২১টি বিপজ্জনক গর্তের দেখা মিলেছে। সেখানে কাঠির মাথায় পলিথিন ও ন্যাকড়া টানিয়ে পথচারী ও যানবাহন চালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের সতর্কতা জারী করা হয়েছে।
এসবের মধ্যে সবচে বিপজ্জনক গর্তগুলো মনোহরদী পৌর এলাকার সিমের গোপাট সংলগ্ন স্থানের। এর একটি গর্তে পল্লী বিদ্যুতের তারবাহী বৈদ্যুতিক খুৃঁটি পর্যন্ত দেবে যেতে দেখা গেছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় পল্লী বিদ্যুৎ সেস্থলের খুঁটিতে একটি ঠ্যাশ ব্যবহার করে এর পতন রক্ষা করেছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, রাস্তাটি বছর কয় আগে পুনঃনির্মান ও প্রশস্তকরণ কাজে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ সমাপ্ত এবং মাটিবাহী ড্রামট্রাক ও ট্রলি চলাচলের কারণে রাস্তাটি বিভিন্নস্থানে দেবে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণস্থানে গাইড ওয়াল দিলে তা বছরের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। সাইটে নামমাত্র মাটি ভরাট করে সাপোর্ট দেয়ার কারণেই এখন সামান্য বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে এসব গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম জানান, গত বর্ষার প্রবল বর্ষনে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেসব নিরসনে সীমিত পরিসরে রাস্তাটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।