হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ৬ দিনের মাথায় প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছেন কর্মচারীরা মঙ্গলবার (২৯-সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান- বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ আব্দুল আলীম মোল্লা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া, সংগঠনের জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কদ্দুছ শামীম সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার আলী আকবর হবিগঞ্জ পৌরসভার সচিব ফয়েজ আহমেদ ফয়সাল আহমেদ খান।
হবিগঞ্জ পৌরসভার কার্য সহকারি কিতাব আলী শাহিন জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মহিবুর রহমান ও কর্মবিরতীতে থাকা শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার স্থায়ী ১০ কর্মচারী।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ আব্দুল আলীম মোল্লা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান- পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের আনীত অভিযোগসমূহ সত্য নয় মূলত ভুলবুঝাবুঝি থেকে এ ধরণের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
তাই পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলরবৃন্দ এবং বিভিন্ন পৌরসভার কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনায় মেয়র মহোদয়ের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে একযোগে কাজ করার জন্য সকল কর্মচারীবৃন্দ অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন এবং কাজে যোগদান করেন।পাশাপাশি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যেসকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা মানবিক কারণে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ আব্দুল আলীম মোল্লা পৌরসভার কর্মচারীদের এহেন কার্যকলাপের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আগামীতে সকল কর্মচারীগণ মেয়র মহোদয়ের অনুগত থেকে পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে কাজ করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনিৎ এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে পৌরসভার স্থায়ী ১০ কর্মচারী বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে কর্মবিরতী পালন করে আসছিলেন। ৭ দিনে মাথায় কর্মবিরতী প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পৌরসভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া বলেন-পৌরসভার কর্মচারীদের মধ্যে যে ভুলবুঝাবুঝির হয়েছিল তা পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতির মাধ্যমে অবসান হয়েছে এবং তারা(কর্মচারীরা) কাজে যোগদান করেছেন এতে করে পৌরসভার নাগরিকরা তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠ সেবাটুকু পাবেন।