হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৫টি চা-বাগানে করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। চা শ্রমিকরা দেশের বৃহত্তম মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের। প্রতিটি শ্রমিকের একটি শ্লোগান, দুনিয়ার মজদুর এক হও এক হও, চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে হবে বাড়াতে হবে, মজুরি নিয়ে তালবাহানা চলবে না চলবে না, চা শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে চলবে। বেতন বৃদ্ধিসহ দুর্গা পুজার আগে বেতন বোনাস পরিশোধের দাবিতে মাধবপুর উপজেলায় ৫টি বাগানে (৮-অক্টোবর) কর্মবিরতি পালন করেছে চা শ্রমিকরা।
উপজেলার সুরমা চা বাগানে শ্রমিকরা ৩ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করলেও তাদের সাথে তেলিয়াপাড়া চা বাগান শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যোগ দেয়। কর্মসূচি পালনকালে চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা বলেন, দৈনিক মাত্র ১০২ টাকার মজুরিতে এক একটি পরিবারের ৬ থেকে ৭ সদস্যের জীবনযাপন খুবই কষ্টকর। প্রতি দুই বছর অন্তর চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের মধ্যে বৈঠক করে মজুরি বৃদ্ধি করা হয় মজুরি বৃদ্ধির মেয়াদ শেষে।
আরও কয়েক মাস অতিক্রম করলে নতুন করে চা শ্রমিকদের মজুরি এখনও বৃদ্ধি হয়নি ফলে চা শ্রমিক পরিবারগুলো মানবেতর জীবন পার করছে। তাই এখন বাধ্য হয়ে একযোগে বাংলাদেশের ২২৮টি চা বাগানে কর্ম বিরতি পালনসহ মানববন্ধন ও মিছিল চলছে। সুরমা চা বাগানে ভ্যালী সভাপতি রবীন্দ্র গৌড় বলেন এ বছর চায়ের দাম প্রায় দ্বিগুন বেড়েছে কিন্তু মালিকরা শ্রমিকদের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় শ্রমিকদের মজুরী বাড়ছে না।
তেলিয়াপাড়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির খোকন তাতী বলেন চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি একটি নিয়মতান্ত্রীক বিষয়। চা বাগানের মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশী চা সংসদ সময়ের মধ্যে মজুরি বৃদ্ধি না করায় চা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে। তিনি জোর দাবি জানিয়ে বলেন অবিলম্বে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে ও সাথে সাথে উৎসব বোনাস প্রদান করতে হবে।