হবিগঞ্জের মাধবপুরে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা সড়কে পানি জমে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। কাঁদা মাটি মারিয়ে শত শত পথচারীকে উপজেলা সদরে আসতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে হালুয়াপাড়া পর্যন্ত সড়কটি পাকাকরণের দাবি করে আসলেও বছরের পর বছর ধরে এ দাবি উপেক্ষিত।
স্থানে স্থানে গর্ত আর কাঁদা জলে একাকার সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পথচারীদের মারাত্নক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাড়ীতো দূরের কথা পা হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। এতে করে ময়লা আর কাঁদা পানি মারিয়ে মাধবপুর উপজেলা সদরে আসতে হচ্ছে মাধবপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামের মানুষকে।
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক রাজীব দেব রায় রাজীব জানান, হালুয়াপাড়া থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত প্রায় সোয়া কিলোমিটার সড়কে স্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত ও বৃষ্টির পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। কাঁদা মারিয়ে আসতে গিয়ে অনেক সময় কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ব্যাগে করে আলাদা কাপড় নিয়ে আসতে হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীদের এ রকম দুর্ভোগে শিকার হন।
এলাকার মানুষের বাজার সদায় ছেলে মেয়ের লেখাপড়া অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার জন্য মাধবপুর উপজেলা সদরই তাদের একমাত্র ভরসা। তাই প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে এলাকাবাসীকে মাধবপুর সদরে আসতে হয়। বেশ কয়েকবছর আগে এই সড়কটিতে ইট সলিং করা হলে এলাকাবাসী কিছুটা দুর্ভোগ লাঘব হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় বর্ষা মৌসুম এলেই এই সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে আদাঐর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান বলেন, এ সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সম্প্রতি সড়কটি পাকা করণের ব্যাপারে এলজিইডিতে একটি প্রস্তাব দেওয়া হলে এলজিইডি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে হালুয়াপাড়া পর্যন্ত এলজিইডি একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি পাকা করণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার হক চৌধুরী জানান সিলেট বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (এসডিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি ১ কিলো মিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য একনেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার আহ্বান করে কাজ শুরু করা হবে।