রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার আরাজি দিলালপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের সুইম নামে ৪৮দিনের ছেলে সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার লাশ বাড়ির পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেন বাবা হামিদুল হক।
আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে মঙ্গলবার বিকেলে বদরগঞ্জ আমলী আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাবা।
আজ বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে বদরগঞ্জ থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাবা হামিদুল হকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, হামিদুল হকের তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি একটি মেয়ে সন্তানের আশায় স্ত্রীকে সন্তান নিতে বলেন। পরের সন্তানটিও ছেলে হয়। সিজার করে এ সন্তানটি হওয়ায় হামিদুলের অনেক টাকা ব্যয় হয়। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। সেই ছেলে সন্তানকে অন্যের কাছে মেয়ে সন্তান দিয়ে বদল করতে চেয়েছিলেন বাবা হামিদুল। কিন্তু এতে রাজি ছিলেন না তার স্ত্রী ফরিদা পারভীন। একারণে গত ৭ মার্চ রাত ৯ টার দিকে স্ত্রীর অজান্তে ছেলেটিকে ঘুম থেকে নিয়ে হত্যা করেন বাবা।
ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ওইদিনেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবা হামিদুল ও মা ফরিদা পারভীনকে আটক করা হয়। পরে হামিদুল হত্যার দায় স্বীকার করলে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। মা ফরিদা পারভীনের হত্যার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে