কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার কোর্ট মসজিদের ইমাম ও নটানপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাহমুদুল আলম আঙ্গুর(৩৮) কে একই মাদ্রাসার ১০ বছরের শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) ওই শিক্ষককে উপজেলা সদরে অবস্থিত কোর্ট মসজিদের ইমামের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশু শিক্ষার্থীর অভিযোগ, শিক্ষক মাহমুদুল আলম আঙ্গুর মাদ্রাসার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে দিয়ে হাত-পা টিপে নেয়। এরপর গোপন অঙ্গে হাত বুলিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে।
ওই শিশুর পিতা বলেন, পুত্রের কাছ থেকে ঘটনাটি জানার পর তা অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে জানান।
তিনি আরও বলেন, পুত্রকে হাফেজ বানানোর জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। কিন্তু বিকৃত রুচির ওই শিক্ষক তার পুত্রের জীবনে কলঙ্কের কালিমা লেপন করে দিয়েছে। এর বিচার চাইলেন তিনি।
নটানপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শফি আহমেদ বলেন, হুজুরকে মারপিট করা হচ্ছে খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান। গিয়ে দেখেন শিক্ষক মাহমুদুল আলম আঙ্গুরকে এলাকাবাসী গণধোলাই দিচ্ছে। তাদের থামানোর পর শিশুটির মুখে ঘটনা শুনেন। এরপর এলাকাবাসীর দাবির মুখে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অব্যাহতি দিয়ে সেখান থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে আনেন।
তবে শিক্ষক মাহমুদুল আলম আঙ্গুর দাবি করেছেন, বলাৎকার করার অভিযোগ সত্য নয়। হঠাৎ করে একদল লোক এসে তাকে রাস্তায় ডেকে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করেছে। মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি এসে তাকে উদ্ধার করে।
শিক্ষক মাহমুদুল আলম আঙ্গুরের বাড়ি রৌমারী সদর ইউনিয়নের ইছাকুড়ি গ্রামে। তার পিতার নাম সাইদুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে বিকেলে মোবাইলে রৌমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান জানান, শিশুটি এবং তার পিতার সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি জেনেছেন। এছাড়া স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। ভিকটিমের পরিবার এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে তাদের জানিয়েছেন। কারণ এ ধরণের বিকৃত রুচির মানুষের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।