কুড়িগ্রামে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে ধর্ষক আশরাফুল ইসলাম (২৩)নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ।
আশরাফুল ইসলাম উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের ইসলাম পাড়া গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে।মেয়ে (১৩) সম্ভ্রমহানি হলেও উপরন্তু অভিযুক্তের বিভিন্ন হুমকিতে পরিবারকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন দিনমজুর বাবা।
কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,ধর্ষক আশরাফুল এক সপ্তাহ ধরে ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছে। গত বুধবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাড়ির বাইরে থাকার সুবাদে এবং তার মা ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগে আশরাফুল ওই শিক্ষার্থীর রুমে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির অদূরে একটি বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ওই শিক্ষার্থী বাধা দিতে গেলে তাকে জীবন নাশের হুমকি ও শারীরিক নির্যাতন করে। এতে ওই শিক্ষার্থী পরাস্ত হলে আশরাফুল তাকে ধর্ষণ করে। এরই মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর মায়ের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি বিছানায় মেয়েকে না পেয়ে ভুক্তভোগীর বাবাকে খবর দেন। পরে তারা স্বজন ও প্রতিবেশিদের নিয়ে রাতেই ওই শিক্ষার্থীকে খুঁজতে বের হন। ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই ওই শিক্ষার্থীকে এলাকার এক যুবকের মাধ্যমে বাড়িতে ফেরত পাঠায় আশরাফুল।এবং বিষয়টি নিয়ে কোনও বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে সে। পরের দিন সকালে ওই শিক্ষার্থীর বাবা তার মেয়ের চিকিৎসা ও বিচারের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে থানায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আশরাফুল ও তার সঙ্গীরা এতে বাধা দেয়। পরে তিনি উপায়ন্ত না পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তা চান। পরে উলিপুর থানা পুলিশের একটি দল পান্ডুল পৌঁছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কিশোরীর বাবা বলেন,আমার বাচ্চা মেয়েটার উপর এমন ঘটনা হল আমি সহ্য করতে পাচ্ছি না।ইজ্জত আর সংশয়ে মনে চাচ্ছে মেয়েকে বিষ খাওয়াবো নতুবা নিজে বিষ খেয়ে মরবো।আমারা গরীব মানুষ টাকা পয়সা নাই সঠিক বিচার পাবো কিনা আশঙ্কায় আছি।
তিনি আরো বলেন,ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন নাম্বার থেকে আমাক ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছে।আমাকে থানায় যেতে নিষেধ করতেছে।এমন কি আমি বাইরে বের হইলে নাকি আমাকে মেরে ফেলবে।
কিশোরী জানায়,আশরাফুল এক সপ্তাহ ধরে আমাকে কৌশলে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।গত বুধবার রাতে রুমে ঢুকে আমার মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
উলিপুর থানার (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় একটি ধর্ষনের মামলা করেছেন। আসামি আশরাফুলকে ধরতে ইতিমধ্যে পুলিশের দুটি টিম মাঠে কাজ করছে।