November 25, 2024, 12:39 pm
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

যৌতুক না দেয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন, গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : রবিবার, মে ২, ২০২১
  • 197 দেখুন

প্রেমিক থেকে স্বামী হওয়া মানুষটির, মানসিক নির্যাতনের সাথে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। তারপরও দাঁতে দাঁত চেপে সয়ে যাওয়ার পণ করেন কিশোরী নববধূ। এরই মধ্যে বছর ঘুরতে না ঘুরতে নিজ গর্ভে আরও এক প্রাণের অস্তিত্ব অনুভব করেন। মা হওয়ার স্বপ্নে আবারও বিভোর হয়ে পড়েন। কিন্তু থেমে থাকেনি নির্যাতন। ভেবেছেন, হয়তো সন্তানের জন্ম হলে মায়ায় পড়ে নির্যাতন চিরতরে বন্ধ হবে। ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম হলে খুশির ঝলকে নির্যাতনে কিছুটা ভাটা পড়ে। কিন্তু সময়ের সাথে মিলিয়ে যায় সবকিছু।

যৌতুকের দাবিতে কথায় কথায় চলতে থাকে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন, নষ্ট করা হয় গর্ভের সন্তান। এমনই রোমহর্ষক নির্যাতনের শিকার হয়ে শেষমেস আইনের আশ্রয় নিয়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক মেসবাহুল আজমের মেয়ে তামান্না বেগম (২২)। তার অভিযোগ, মামলা করলেও আসামি গ্রেফতারে তালবাহানা করছে পুলিশ। এ নিয়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

তামান্না বেগমের স্বামীর নাম নাইমুল ইসলাম লিমন (২৬)। তিনি উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের দাড়িকা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।

নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ জানান, প্রেমের বিয়ে হলেও বিয়ের কিছু দিনের মাথায় তিনি জানতে পারেন তার স্বামী মাদকাসক্ত। এ নিয়ে তাকে বাধা দিতে গেলে তার ওপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। তারপর শুরু হয় যৌতুকের চাপ। প্রথম সন্তানের জন্ম হলে মুখ বুজে সব সহ্য করলেও যৌতুকের চাপে নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। স্বামীর সাথে যোগ দেন শ্বশুরও। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে ফিরে গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চাইলে উভয় পরিবারের আলোচনায় ‘মিমাংসা’ করে আবারও সংসার শুরু করি। কিন্তু সাময়িক বিরতি দিয়ে আবারও নির্যাতন শুরু হয়।

তামান্না বলেন, স্বামীতো মারেই, সাথে শ্বশুর শাশুড়িও ছাড় দেন না। একদিন শ্বশুর রড দিয়ে আঘাত করে আমার বাম হাতের হাড় ভেঙে দেন। অসহনীয় নির্যাতনে বাবার বাড়ি চলে গেলে পরবর্তীতে আবারও লিখিত অঙ্গীকার নামায় সমঝোতা করে আমাকে স্বামীর সংসারে নিয়ে আসা হয়। তারপর কিছুদিন পর আবারও যৌতুক চেয়ে নির্যাতন শুরু হয়। এরমধ্যে আমি দ্বিতীয় বারের মত অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102