হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা হাটে-বাজারে মানুষের উপচে পড়া ভিড় নেই কোন রকম নিয়মের বালাই। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই যেন তোয়াক্কাই করছেন না বিধি নিষেধ তিন মাসের শিশু বাচ্চা নিয়ে ঘুরে ঘুরে সদাই করতে দেখা গেছে অভিভাবকদের
এমন বাস্তবতার মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানারকম অভিযান অব্যাহত থাকলেও কোনকিছুই কাজে আসছে না।
শুক্রবার ও শনিবার দুদিন ঘুরে শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে- সবখানে যেন মানুষের মেলা। গুটিকয়েক মানুষ মাস্ক পরলেও বাকিদের উদাস চলাফেরা। কারো কারো মাস্ক থাকলেও তা ঝুলে আছে থুঁতনির নিচে। এছাড়া কোমলমতি শিশুদের নিয়ে দিব্যি বাজার-সদাই করছেন অভিভাবকগণ দেশে করোনাভাইরাস নামে কিছু আছে মানুষের চলাফেরায় তা বুঝার উপায় নেই।
উপজেলার অলিপুর ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্ক এরিয়া সুতাং বাজার এলাকা বাছিরগঞ্জ বাজার ড্রাইভার বাজার দাউদনগর বাজার, পুরান বাজার ঘুরে একই চিত্র চোখে পড়ে একই সাথে গণপরিবহনের অনিয়ন্ত্রিত যাত্রী পরিবহন, পার্কিং এর কারণে যানজট তীব্রভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে এ ব্যাপারে টমটম অটোরিকশা রিকশা ভ্যানগাড়ি মাইক্রোর ও অপরিকল্পিত চলাচলের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন করা হলে কোন রকম সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
দোকানে বেচা-কেনায় বিধিনিষেধ ও নিয়মের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান খান বলেন ঈদ তো, তাই ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হচ্ছে না হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে বলেন- গ্রাহক বিষয়টিকে সহজ ভাবে নেয় না, উল্টো গ্রাহক আরো মাইন্ড করে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অসিত রঞ্জন দাশ জানান এভাবে মানুষের উপস্থিতি থাকলে শায়েস্তাগঞ্জবাসী ভয়াবহ করুণ পরিণতি বরণ করতে হতে পারে।
বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রশাসন কে কঠোর হওয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই বলে আমি মনে করি শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিবলু বলেন ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি, যেন নিয়ম মেনে ব্যবসা করা যায় ঈদের কারণে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় কিছুটা ব্যতিক্রম হচ্ছে।