মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূনর্বাসন প্রকল্প( আশ্রয়ণ প্রকল্প-২)এর সুবিধার আওতায় লাখো পরিবারের বাস স্থানের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার।এরই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার দাঁত ভাঙ্গা ইউনিয়নের ৩৫ টি পরিবারকে এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ৯ টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হলেও বাকি ২৬ টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে নির্মাণাধীন চারটি ঘর ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ আর হতাশা।
সোমবার উপজেলার দাঁত ভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিনধরা( বগারচর) নামক এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ৪ টি ঘর ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী মোঃ সুলতান হোসেন বলেন,ঘরের ফাউন্ডেশন না করে নিচু জায়গায় ও বালু মাটিতে ঘরগুলো নির্মাণ করার কারনে মাটি ধসে ৪ টি ঘর ভেঙে পড়েছে। এছাড়া নাম মাত্র বালু ভরাট করে সাথে সাথে কাজ করায় এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা।
সুবিধাভাগী শাহাজামাল ও ফুলা রানী জানান, জমি নিচু এবং বালু মাটি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের নিচের মাটি ধসে গিয়ে ৪টি ঘর ভেঙে গেছে।এভাবে ঘর ভেঙে পড়লে আমরা যাবো কই?
রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে “ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন প্রকল্প (আশ্রয়ণ প্রকল্প-২) এর আওতায় দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন ৩৫টি পরিবারক এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে । প্রতিটি গৃহ নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা থেকে ১লাখ ৯০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ৯টি গৃহ নির্মাণ শেষ সুবিধাভাগীদর মাঝে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলার কাজ চলমান রয়েছে।
ঘটনার বরাত দিয়ে তিনি বলেন,উপজেলা প্রশাসন সরাসরি এ নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধায়ন করেন।ঘর গুলো ভেঙে যাওয়া মুলত নিম্নমানের কাজের জন্য এমনটা হয় নাই। মুলত মাটির কারনে ৪টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, যে ঘরগুলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে । ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। মুলত মাটির কারনে এসব হয়েছে বলে তিনি জানান।