November 24, 2024, 11:26 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

মাধবপুরে চলছে নকশীকাঁথার উৎসব

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : রবিবার, জুন ১৩, ২০২১
  • 243 দেখুন

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বোরো ধান লওয়ার শেষ হতে না হতেই চলছে নকশী কাঁথার বুননের উৎসব। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে গ্রামের মহিলারা ধান লওয়ার কাজ শেষ করে আপন মনে নকশী কাঁথা বুননের উদ্যোগ আয়োজন করে। রুবি পাল।

মাধবপুর মৌলানা আছাদ আলী সরকারি কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। করোনা সংকট শুরুর পর কলেজ বন্ধ। ঘরবন্দী জীবনের একঘেয়মি কাটাতে কিছু একটা করার ইচ্ছে জাগে তার। একটি ফেসবুক গ্রুপে নকশি কাঁথার কাজ দেখে ভালো লাগে। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করেন নকশি কাঁথা তৈরির কাজ। অনলাইনে নকশি কাঁথা বিক্রি করে মাত্র এক বছরেই আশাতীত সাফল্য পেয়েছেন সখি। তার তৈরি নকশি কাঁথা ব্যক্তি থেকে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সব প্রান্তে। এখন সুই-সুতোয় সম্ভাবনার স্বপ্ন বুনছেন তিনি। রুবি পাল হরিশ্যামা গ্রামের মনোরঞ্জন পালের মেয়ে ও তার ভাই রনি। দুই ভাইবোনের মধ্যে রুবি বড়। তার ছোট ভাই রনি সেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র। আলাপকালে রুবি পাল বলেন, করোনা শুরুর হওয়ার পর কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। বাড়িতে বসে থেকে সময় কাটছিল না। এই সময়টাকে কাজে লাগাতে কিছু করার ইচ্ছা করছিলাম। কী করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। এর মধ্যে আমাদের গ্রামের আরো সহপাঠীরা নকশী কাঁথা বুননের উদ্যোগ নিলে আমিও নকশী কাঁথা বুননের প্রয়াস করি। আমি নিজে সেলাইয়ের কাজ জানতাম অল্প। এখন পুরোপুরি সেলাইয়ের কাজ পারি। নকশি কাঁথার কাঁচামাল বাজার থেকে কাপড় কিনে নিয়ে এসে প্রথমে কাপড়ের ওপর যে ডিজাইন হবে, সেটি আঁকাই। তারপর সুই-সুতা দিয়ে সেলাই করে নকশি কাঁথা তৈরি করা হয়। এ কাজ পুরোটাই হাতে করা হয়। এখন আমার নিজেরই একটা পুঁজি তৈরি হয়েছে। বাড়িতে অনেক রকমের কাপড় কিনে রেখেছি। আামদের গ্রামের প্রতিটি বাড়ির মহিলারাই এ কাঁথা সেলাই নিয়ে ব্যস্থ থাকে। রুবি জানান, বাচ্চাদের জন্য নকশি কাঁথা প্রতি পিস সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, বড়দের জন্য প্রতি পিস সর্বনিম্ন ২০০০ থেকে ৪২০০ টাকা।
একই গ্রামের বাসন্তি দাশ বলেন, করোনায় লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছিলাম। এমনিতে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। তবে লেখাপড়ার ফাঁকে অবসর সময়ে নকশী কাঁথা সেলাই করে সময় কাটাচ্ছি ও মনের দুশ্চিন্তাও দূর হয়েছে। আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি নকশি কাঁথার কাজ করে আয় করে পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারছি।

আমি অনেক সময় ভারতীয় সিরিয়াল দেখে নমুনা সংগ্রহ করে নকশী কাঁথা ডিজাইন তৈরি করি। আমি চাই তাদের মতো আরও নারী সাংসারিক কাজের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে উঠুক। শুধু আমি নই, আমার এলাকার অন্যান্য নারীদের পাশে থেকে তাদের নিয়েই সামনে এগোতে চাই। তাদের ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বিশ্বাস করেন, একটু সহায়তা পেলেই বাংলাদেশের পণ্য বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করে দেশের অবস্থান আরও উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাত সুলতানা বলেন, নারী উদ্যোক্তারা যদি এভাবে সামনের দিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে সমাজে পুরুষের উপর আর নির্ভরশীল হতে হবে না। যদি আরো গ্রামের কয়েকজন নারী এ নকশী কাঁথা প্রসারের জন্য ব্যবস্থা করে তাহলে তাদের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট কর্মসংস্থানের জোর দাবি জানাবো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102