কুড়িগ্রামে নদী ভাঙ্গন রোধে চলমান প্রকল্পের কাজের নির্ধারিত ঠিকাদারের নিকট চাঁদা না পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কার্য সহকারী মো: শারাফত আলী(৫০),সহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আব্দুস ছালাম, সামছুল হক ও রানা মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
পরে তাদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের ভাটলার পাড় সুইচগেট নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান, চাঁদা দাবী এবং হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় শাহ জামাল, সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও এরশাদুলসহ ৭/৮জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে জসিম উদ্দিনের মোড় থেকে ভাটলার পাড় সুইচগেট পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার ধরলা নদীর তীর সংরক্ষনের কাজ চলমান রয়েছে। রংপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেকেআর ইউবি ২ মাস আগে কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দা শাহ জামাল, সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও এরশাদুলসহ ৭/৮জন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদা না পেলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দিয়ে আসছিল।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চাঁদা দিতে অস্বীকৃত জানালে শনিবার সকাল ১০টার দিকে মোগলবাসা বাজার সংলগ্ন ভাটলারপাড় সুইচগেট এলাকায় কাজ চলা কালে সন্ত্রাসীরা বাঁধা প্রদান করে। এসময় প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী মো: শারাফাত আলী বাঁধাদান কারীদের নিকট কাজ বন্ধ করার কারন জানতে চান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক ইউপি সদস্যে আজিজুল ইসলামের নির্দেশে অভিযুক্তরা লাঠিসোঠা নিয়ে শারাফাত আলীর উপর হামলা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে প্রকল্পের শ্রমিক আব্দুস ছালাম, শামসুল হক ও রানা মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও এলোপাতারীভাবে মারপিঠ করে গুরুতর আহত করা হয়। আহতরা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, সরকারী কাজে চাঁদা দাবী, কাজে বাঁধা প্রদান ও সরকারী কর্মচারীকে হত্যার উদ্দিশ্যে হামলার ঘটনায় আমি বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো: শাহরিয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবেে