ভর্তি একজন করোনা রোগীর প্রতিদিনের খাবারের জন্য ৩শ টাকা সরকারি বরাদ্দ থাকলেও কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতাল কতৃপকক্ষের অবহেলার কারণে সেই খাবার থেকে বঞ্চিত করোনা রোগীরা। ফলে অধিকাংশ করোনা রোগীকে বাড়ির খাবারের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
সরজমিন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে খোজ নিয়ে জানা যায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩৯জন।
তাদের সকালের নাস্তায় দেয়া হচ্ছে একটি করে ৫টাকা দামের পাউরুটি, ৮ টাকা দামের ডিম ও ৪ থেকে ৫ টাকা দামের কলা।
দুপুরে খাবারে ভাতের সঙ্গে দেয়া হচ্ছে ডাল, একটি ডিম অথবা এক টুকরো মাছ এবং রাতের খাবারের সঙ্গে দেয়া হচ্ছে ভাতের সঙ্গে এক টুকরো মাছ অথবা একটি ডিম।
বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী তিন বেলা খাবারের জনপ্রতি মুল্য দাঁড়ায় ১শ টাকা।। রোগীদের খাবারের সাথে নিয়মিত ফলমুল দেয়ার নিয়ম থাকলেও সেগুলো দেয়া হচ্ছে না।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীরা জানান করোনা শনাক্ত হওয়ার পর কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা। কিন্তু হাসপাতালের দেয়া খাবার খেতে পারছে না তারা। ভাত ঠিক মতো সিদ্ধ হয় না, সকালের নাস্তায় দেয়া পাউরুটি যা খাবারের মতো না। এছাড়াও কোনদিন ফলমূল পান নি। বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে। ফলে খাবার সরবরাহে করোনা ইউনিটে দশর্নাথীর ভিড়ে করোনা সংত্রুমন ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ছে।
করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে তালতলা খামারপাড়ার জৈনক রোগীর অভিভাবক জানান, খাবার নিয়ে প্রতিবাদ করলে চিকিৎসা সেবায় নানা সংকট তৈরি করা হয়। (সেকারণেই নাম প্রকাশ না করতে রোগীর অভিভাবক অনুরোধ করেন।) কিন্তু বিবেকের তাড়নায় আপনাদের সত্যিটা জানালাম। করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে এমন একাধিক রোগীর পারিবারিক লোকজন জানান, ফলমূল তো দূরের কথা সকালে নাস্তার সাথে যে কলা দেয়া হয় সেটিও খাবার উপযোগী নয়, তরকারি দেখলে খাবারের ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যায়।
সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী করোনা রোগীকে নিয়মিত ফলমূল ও হরলিক্স দেয়ার নিয়ম থাকলেও সেগুলো রোগীরা পাচ্ছে না কেনো?
জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার শহিদুল্লাহ লিংকন রিতিমত চমকে উঠে, করোনা ইউনিটে দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার, নার্সদের তার রুমে তলব করে সাংবাদিকরা কি বলছে, রোগীদের খাবার এতো নিম্ন কেনো? এরকম নানান কথা বলে চেয়ার থেকে উঠে স্টাফদের নিয়ে করোনা ইউনিটে পরিদর্শনে যান। এরপর তার মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও রিসিভ করেননি।