October 19, 2024, 2:35 pm
শিরোনাম:
মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর

কুড়িগ্রামে বৃদ্ধার লাশ নিলো না পরিরার, দাফন করলো ছাত্রলীগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : শনিবার, জুলাই ১৭, ২০২১
  • 1289 দেখুন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু হওয়া এক বৃদ্ধার লাশ পরিবার নিতে অস্বীকৃতি জানালে ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা ওই বৃদ্ধার লাশ দাফন কার্য সম্পাদন করেন।

শনিবার (১৭ জুলাই) রাতে ফুলবাড়ী কবরস্থানে ওই বৃদ্ধার মরদেহ দাফন করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার দাশিয়ারছড়ার সমন্বয় পাড়া এলাকার মৃত বানু মামুদের মেয়ে ফাতেমা বেওয়া (৫২)। স্বামীর বাড়ি লালমনিরহাটের ছিনাই এলাকায়। অভাবের সংসার। এক ছেলে ও এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে দুসন্তানই ঢাকায় চলে যান। সেখানে তারা গার্মেন্টসে কাজ করেন। বছর খানিক আগে স্বামী আজাহার আলী মারা গেলে ফাতেমা বেগম তার বাবার বাড়িতে ভাইদের কাছে চলে আসেন। ফাতেমার ভাই ভ্যানচালক ইনসান আলী, হোটেল শ্রমিক দানেশ আলী ও দিনমজুর ইউনুস আলী। ভাইয়েরাও একদম গরিব হওয়ায় প্রায় তিন মাস আগে ফাতেমার ঠিকানা হয় ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে দির্ঘদিন থাকার পর শনিবার বিকেলে মারা যান তিনি।

ফাতেমার মৃত্যুর পর ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খোঁজ খবর নিয়ে তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে অনেক চেষ্টা করলেও কেউ লাশ নিতে রাজি হয়নি। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যদের সাথে নিয়ে লাশ দাফনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রাত দশটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে ফুলবাড়ী কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে লাশ দাফন কার্য সম্পন্ন করেন।

ফাতেমার ভাই ইনসান আলী ও দানেশ আলী বলেন, হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার মত টাকা পয়সা আমাদের নাই। তাছাড়া লাশ দাফন করতে গেলেও খরচ আছে। আমাদের তো নিজেরই থাকার জায়গা নাই আমরা লাশ নিয়ে গিয়ে কি করবো। তাই এনারা এখানেই কবরস্থানে দাফন করলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102