সরকারি কাজে বাধা ও আদালত অবমাননার অভিযোগে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া জমি দখলে বাধা দেওয়া ও এর কারণ ব্যাখ্যা না করায় মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) চিলমারী সহকারী জজ আদালতের সহকারী জজ মো. রাকিবুল হক এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি মামলা নিষ্পত্তি করে মালিককে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন চিলমারী সহকারী জজ আদালত। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩০ শতক জমির দখল বুঝিয়ে দিতে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নে যান আদালতের সিভিল কোর্ট কমিশনার মো. আখতারুজ্জামান।
এ সময় চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক তার সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে কোর্ট কমিশনারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। সেই সঙ্গে কোর্ট কমিশনারের ব্যাগ এবং মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ব্যাগ ও মোটরসাইকেলের চাবি ফেরত পেলেও জমির দখল বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হন। বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানান কমিশনার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জুন আব্দুর রাজ্জাক মিলনকে তলব করেন আদালত।
নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিলেও আদালতে উপস্থিত হননি। যা আদালত অবমাননার শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জারিকৃত আদেশে বলা হয়, নোটিশ জারি হলেও আব্দুর রাজ্জাক সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাননি কিংবা পদক্ষেপ নেননি। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং আদালত অবমাননা। তাই তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা অনুযায়ী মামলার নেওয়ার জন্য কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে জানানো যাচ্ছে।
বেঞ্চ সহকারী জিয়াউর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আদেশের অনুলিপি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।