কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর কচাকাটায় বিয়ের দাবীতে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন করছে নীলফামারীর এক কলেজ ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ আগস্ট রোববার সন্ধ্যায়।
বিয়ের দাবীতে অবস্থান নেয়া ওই কলেজ ছাত্রী লিপি নীলফামারীর ডোমার সরকারি কলেজর অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও নাউতাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামে মেয়ে এবং পুলিশ সদস্য রাশেদ উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের নায়কের হাট মন্ডলপাড়া গ্রামের কুশাই মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
লিপি জানায়, ২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার সময় ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিল কনস্টেবল রাশেদ। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রেই পরিচয় হয় দুজনের। পরিচয়ের সূত্র ধরে এক পর্যায়ে তাদের দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই থেকে দীর্ঘদিন একসাথে চলা ফেরা এবং মেলামেশা করেন তারা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে রাশেদ। এমনকী ৩ মাস ধরে যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছে এবং অন্যত্র বদলি হয়ে গেছে সে। তার দেয়া ঠিকানায় ওই পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অবস্থান নেয় লিপি। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত রাশেদের বাড়ি থেকে যাবে না বলেও জানায় লিপি।
এদিকে রাসেদের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে জোর পুর্বক বাড়ির বাইরে বের করে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়েটির নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই রাতেই কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল তার বাড়িতে রেখে দেয়।
এ ব্যাপারে রাশেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে মেয়েটি জোড় করে রাশেদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। আমার ছোট ভাইয়ের সাথে তার কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। তাছাড়া রাশেদকে গত দু’বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়েছে। মেয়েটি রাশেদসহ আমাদের বিপদে ফেলতে আমদের বাড়িতে চলে এসেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জানান, মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কারণে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি। মেয়ের পরিবাররের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসলে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করা হবে।
কচাকাটা থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।