October 19, 2024, 10:37 am
শিরোনাম:
মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর

রমনায় ১৯ মাস ধরে বাঁজছে না ট্রেনের হুইসেল

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : শনিবার, অক্টোবর ২, ২০২১
  • 205 দেখুন

রুপকথার গল্পের মত মনে হলেও দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে বাঁজছে না কুড়িগ্রামের রমনা বাজার স্টেশনে কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের হুইসেল।এ যেন ইতালিতে ১০০ বছর আগে যাত্রীসহ হারিয়ে যাওয়া জেনেটিক কোম্পানির ট্রেনের মত।

এমনি একটি ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ১৯ মাস আগে রমনা বাজার রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের ফিরে আসার প্রতিক্ষা নিয়ে। জনমনে প্রশ্ন আর অপেক্ষায় দিন কাটছে কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলার সুবিধা বঞ্চিত সাধারণ যাত্রীদের।

জানা যায়, কুড়িগ্রামের রমনা বাজার স্টেশন থেকে চলমান চিলমারী-রংপুর-পার্বতীপুর রেলপথে ট্রেনটি দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে যোগাযোগ বন্ধ।গত বছরের ৮ মার্চ দুপুরে চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপরগামী একটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি।ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্বল্প ভাড়া ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত প্রায় ৯ উপজেলার সাধারণ যাত্রীরা।
এ অবস্থায় বেকার হয়ে পড়েছে রমনা রেলস্টেশনকে ঘিরে খেটে খাওয়া মানুষজন।ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ঘুরে দাড়ানোর প্রচেষ্টা নিয়ে স্বপ্ন বুনা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

সূত্রমতে, ১৯২৮ সালের ২ আগস্ট বন্দরনগরী চিলমারী থেকে প্রথম রেলপথে রেল যোগাযোগ চালু হয়। তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার রেলপথ পড়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভেতরে।

সেই সময় যাত্রীদের সুবিধার্থে এই ৪৩ কিলোমিটার রেলপথে স্থাপন করা হয় আটটি স্টেশন। কুড়িগ্রাম রেলপথ চালুর পর পার্বতীপুর-রমনা রেলপথে সকাল-সন্ধ্যায় দুটি ও লালমনিরহাট-রমনা পথে দুপুরে ও রাতে দুটিসহ মোট চারটি ট্রেন চালু ছিল। 

২০০২ সালের দিকে হঠাৎ করে পার্বতীপুর-রমনা রুটে একটি ও লালমনিরহাট-রমনা রেলপথের দুটি ট্রেনসহ মোট তিনটি ট্রেন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

এর পর থেকে একটি ট্রেন পার্বতীপুর-রমনা রুটে সকালে রমনা এসে তিস্তা গিয়ে ফের দুপুরের ট্রেন হয়ে চলাচল করছিল। 

২০২০ সালের ৮ মার্চ ট্রেনটি রমনা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর প্রায় ১৯ মাস ধরে আর তা চিলমারীতে আসছে না। 

সুবিধা বঞ্চিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, ট্রেনটি চলাচল করলে কম খরচে নিরাপদে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসা যেত কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে বাস, ট্রাক, পিকআপভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে বেশি টাকা ব্যয় করে মালামাল আনতে হচ্ছে। ফলে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। 

রমনা বাজার রেলস্টেশনে নিয়মিত যাত্রী খন্দকার শামসুল হক বলেন,করোনার কারনে ট্রেন বন্ধ ছিল। করোনা স্বাভাবিক হওয়ার পরেও ট্রেন না চলায় যোগাযোগ ও পরিবহনে আমরা প্রতি নিয়ত ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছি।সরকারের নিকট আবেদন রমনা বাজার স্টেশনে দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হোক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিরক্ত হয়ে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, এসব নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না। আমাদের যা রিসর্ট আছে, তাতে এ মুহূর্তে ট্রেন চালানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102