November 25, 2024, 6:05 pm
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

ত্রিশালে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় নদের পানি।

তাপসকর ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : সোমবার, নভেম্বর ২২, ২০২১
  • 300 দেখুন

ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয় নদের পানি। প্রথমবারের দেখায় আঁতকে উঠতে পারেন যে কেউ। যে জলধারার পানি দিয়ে হতো কৃষিকাজ, খাওয়ানো হতো গবাদি পশুকে, সেই পানি এখন স্থানীয়দের কাছে রীতিমতো আতঙ্ক। রঙিন এ পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। রোগাক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু-পাখি, হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী। অস্বাভাবিক মনে হলেও এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় বয়ে যাওয়া বানার নদে। এ নদ গিয়ে মিশেছে ঐ উপজেলার খিরু নদীতে। আর খিরু নদীর প্রবাহ গিয়েছে শীতলক্ষ্যায়।
আক্ষেপের সুরে ত্রিশালের আমিরাবাড়ি ইউনিয়নের নারায়ণপুরের কৃষক চাঁন মিয়া বলেন, এ নদের তীরেই আমার জন্ম, বড় হওয়া। আমরা এক সময় এখানে গরু-বাছুর গোসল করিয়েছি, নিজেরাও গোসল করেছি। নদের পাশে নানা ফসলের আবাদ করেছি। কিন্তু পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কোনো ফসলই এখন হয় না। শাহাবুদ্দিন নামে আরেক কৃষক বলেন, গরু-ছাগল, হাঁস নদীর পাড়ে যেতে চায় না। নদীতে নামলেই হাঁস মরে যায়। আগে নদীর দুইপাশ দিয়ে বীজতলা করতাম। এখন আমাদের কিছুই করার নেই।
বানার নদে কেন বিভিন্ন রঙের পানি প্রবাহিত হয় তা জানা গেল মাইল পাঁচেক দূরের চৌহার খালে। দুইদিক থেকে দুই রঙের পানি এসে মিশছে এ খালে। একদিক থেকে আসছে সাদা পানি, অন্যদিক দিয়ে আসছে নীল পানি। যা মিশছে বানার নদে। আশপাশে ঘুরে দেখা গেছে, চৌহার খালের ওপর রয়েছে আকিজ সিরামিক কোম্পানির স্থাপনা। এর পশ্চিমে ১০-১৫ একরের বাতাইন্না বিল। বাতাইন্না বিল ও সরদান বিলের পানি নিষ্কাশন হয় চৌহার খাল দিয়ে। আকিজ সিরামিক ও তার পূর্বপাশের আর.কে ব্রিকসের বড় বড় আরসিসি পাইপলাইনে কারখানাগুলো থেকে তরল বর্জ্য এসে মিশছে খালের পানিতে।

চৌহার খালের পাশ দিয়ে আরেকটু এগিয়ে গেলে গুজিয়াম-আমিরাবাড়ি সড়কে পাওয়া যায় একটি কালভার্ট। যার নিচে একটি সুরঙ্গ দিয়ে অবিরাম বের হচ্ছে রঙিন পানি, উঠছে ধোঁয়া। বিষাক্ত সেই পানিই খাল দিয়ে যাচ্ছে নদীতে। সুরঙ্গটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের ড্রেসডেন টেক্সটাইলস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির। ড্রেসডেন টেক্সটাইলস লিমিটেডের এজিএম নুরে আলম খোকনের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে এড়িয়ে যান। পরে তাদের ইটিপি প্লান্ট বা শোধনাগার সচল রয়েছে কিনা দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কোম্পানিতে ইটিপি স্থাপনের কাজ শেষ হয়নি। শিগগিরই এটি চালু করা হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, শোধনাগার চালু না থাকায় এর আগে কারখানাটি বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমার জানামতে প্রতিষ্ঠানের এসব পানি নিষ্কাসন বন্ধ রয়েছে। তবে যেহেতু তারা আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে- দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাদের বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102