কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে ফরিদ মিয়া (২৯) নামের এক যুবক ইদুর মারা বিষ ও (কিটনাশক) পানে আত্মহত্যা করেছে। নিহত ওই যুবক উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাগভান্ডার গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তার ৮ বছর, ৫ বছর ও দেড় বছরের তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, অভাবের সংসারে ফরিদ মিয়ার স্ত্রী ববিতা বেগমের সাথে প্রায় বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া লাগতো। গত ঈদের দুইদিন আগে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া লাগে পরে অভিমান করে বাড়ি থেকে ঢাকা চলে যান ফরিদ।
গত সোমবার দুপুরে সে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। বিকেলে পুনরায় স্ত্রীর সাথে কেনা কাটা নিয়ে ঝগড়া লাগে। এক পর্যায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরে থাকা ইদুর মারা দুটি বড়ি ও এক বোতল কিটনাশক পান করে। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনিত হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্ররণ করেন।
সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার (১০ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদ মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে