কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করতে মাইকিং প্রচার প্রচারনার নির্দেশনা দিয়েছেন রৌমারী উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ সুরুজ্জামাল হোসেন। তিনি রৌমারী উপজেলার রৌমারী থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মঙ্গলবার (৩১মে) বিকেলে কর্ত্তিমারী বাজার এলাকায় মাইক অপারেটর কালাম মিয়া আওয়ামী লীগের ওই নেতার নির্দেশনা মানতে এ প্রচারনা চালান।
মাইকিং এ বলা হয় বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকলে কেউ বিদ্যুৎ বিল দেবেন না। প্রচারে মো. সুরুজ্জামাল সাহেব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রৌমারী থানা শাখা।’ এ সময় সুরুজ্জামালকে মোটরসাইকেল নিয়ে পেছন পেছন আসতে দেখা যায়।
জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে রৌমারী উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিলের সময় হলে বিদ্যুৎ অফিস বিলের কাগজ জনগণের হাতে সময় মত ধরে দিলেও জনগণ ঠিকমত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার পরও সমাধান না পাওয়ার কারনে প্রতিবকদ স্বরূপ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করতে এই মাইকিং করা হয়েছে বলে জানান সুরুজ্জামাল হোসেন।
তিনি আরো বলেন, আমি নিজেই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আরো কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাসহ রৌমারী বিদ্যুৎ অফিসের যোগাযোগ করেছি।কোন লাভ হয় নাই।দিনেও বিদ্যুৎ থাকে না রাতেও নাই।বিদ্যুৎ না থাকলে বিল দেবো কেন।আমি তো গ্রাহকদের বলছি না বিদ্যুৎ বিল বন্ধ করতে।সেবা পেলে বিল দেবো।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রৌমারী জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মেহেদী মাসুদ বলেন, সুরুজ্জামাল সাহেবের মাইকিং করার বিষয়টি জেনেছি। তার ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে কথা বলতে পারিনি। তিনি যা করেছেন তা আইনসম্মত নয়। আমি বিষয়টি কর্তিমারী বাজার সমিতির সভাপতিকে জানিয়েছি। তাদেরকে জানিয়ে লাইন সরবরাহের কাজ করছি।এছাড়াও পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলে তখন মাইকিং করে জানানো হয়। তা না হলে সব গ্রাহক মনে করেন যে বিদ্যুৎ থাকবে না। ওই ফিডারের সব গ্রাহকের লাইন বন্ধ করে রাখি নি। আমরা ফোন করে ওই ফিডারের আওতাভুক্ত কর্তিমারী বাজার সভাপতিসহ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম।
এছাড়াও মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে না করার বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।