October 18, 2024, 2:28 pm
শিরোনাম:
মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর

৫টি নলকূপে চলে ৪০ পরিবারের জীবন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বুধবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
  • 199 দেখুন

ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে উঠা একটি চরের নাম মুসার চর।এটি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত।চরটিতে ৪০টি পরিবারের প্রায় ৩শো মানুষের বসবাস।খাবার পানিসহ ব্যবহারিক কাজে পানির চাহিদা মেটাতে আছে মাত্র ৫টি নলকুপ।ফলে পরিবারগুলো সারা বছরই থাকে বিশুদ্ধ পানির সংকটে।এতে চরের মানুষজন প্রায় সময়ই ভোগে নানান রোগে।

সরেজমিনে দেখা যায়,ব্রহ্মপুত্রের বুকে দ্বীপের মত দাড়িয়ে আছে মুসার চরটি।নৌকা হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের এক মাত্র যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। লোকালয় থেকে প্রায় ১ ঘন্টার নদী পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হয় এই চরে।এখানকার বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র,নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে।তাদের আয়ের একমাত্র উৎস মাছ ধরা।কেউবা গরু ছাগল পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে।দশ বছর আগে মুল চরটি নদী ভাঙনে বিছিন্ন হয়ে যায়। যাদের সামর্থ ছিল তারা পাড়ি জমিয়েছে শহরে কিংবা নিরাপদ কোন লোকালয়ে।যাদের বাইরে যাওয়ার সামর্থ নেই তারা আছে এই চরে।চরটিতে এখন ৪০টি পরিবারের বসবাস হলেও নলকূপ রয়েছে মাত্র ৫টি।স্থানীয়দের অভিযোগ, বিশুদ্ধ পানির অভাবে সারা বছর নদীর পানির উপর নির্ভর করতে হয় তাদের।এতে প্রায় সময়ই রোগ শোকে ভুগে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা।

মতিয়ার রহমান বলেন,আমরা সারা বছর বিশুদ্ধ পানি সংকটে ভুগি।অনেক সময় নদীর পানি খেতে হয়।এতে শিশু বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। জ্বর কাশি সারা বছর লেগেই থাকে।শুনি প্রতি বছর সরকার চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে নলকূপ দেয়।আমরা আজ পর্যন্ত নলকূপ তো দুরের কথা একটা বিশুদ্ধ পানির বোতল পাইলাম না।

লালবানু বেওয়া বলেন, চারদিকে পানি অথচ সারা বছর আমরা খাবার পানির সংকটে ভুগি।বন্যা হলে নদীর পানি এমন ঘোলা হয় ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। তিনবেলা খাবার জোঠাতে পারি না নলকূপ দেয়ার টাকা পাবো কই?

রেজিয়া খাতুন বলেন,পাশের বাড়িতে নলকুপ আছে। সব সময় ওদের ওখানে গেলে ওরা অনেক সময় বিরক্ত হয়।আমরা বউ ঝি মানুষ। পানির জন্য আমাদের নদীর পার যেতে হয়, আমাদের লজ্বা করে।বাড়িতে একটা নলকূপ থাকলে খুবই ভালো হত।

মুসার চরের ইউপি সদস্য আবু বক্কর খাঁন বলেন,বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত ওয়ার্ড এটি।এখানকার মানুষ জনের দুঃখ কষ্টের সীমা নেই।আয় থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য বাসস্থান সব দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে এখানকার বাসিন্দারা। এই চরবাসীর পাশে দাড়াতে বিত্তবানসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল মিয়া বলেন,মুসার চরে ৪০-৪৫ টি পরিবারের মাঝে মাত্র ৫টি নলকূপ।ওই এলাকায় নলকূপ দেয়ার জন্য আমি বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতেছি।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার বলেন,মুসার চরে নিম্ন স্তরের১শো থেকে দেড় শো ফুট গভীরের মধ্যে আর্সেনিক, আয়রন থাকার কারনে আপাততঃ হোম সিস্টেম নলকূপ দিচ্ছি না।এ চরের জন্য কোন ধরনের নলকূপ বসানো যায়, সে বিষয়টা নিয়ে জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102