কুড়িগ্রামের অন্যতম দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা যাত্রাপুর ইউনিয়নে সেন্টার ফর ডিজ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) এর পিপিডিসিএইচপিএন্ডআর প্রকল্পের উদ্যোগে দুর্যোগ কালীন সময়ে, বিশেষত বন্যায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ ঝুঁকিতে থাকা জনগণকে বন্যার ঝুঁকি হ্রাসে কিভাবে অন্তর্ভুক্তমূলক আগাম সংকেত প্রদান করবে, প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, অনুসন্ধান, উদ্ধার ও আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে হবে, দুর্যোগ পরবর্তীতে কি কি করনীয় এ সকল বিষয়ে স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধির মাঝে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমুলক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক এক সিমুলেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২) সকালে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর ঘাটের পাশে এ সিমুলেশন অনুষ্ঠিত হয়।

সচেতনতা মুলক এই সিমুলেশনে উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম প্রতিবন্ধী ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডা. মোঃ আরিফুর রহমান, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, সিডিডির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ তারেক আহমেদ, ফিল্ড কর্ডিনেটর আব্দুল মান্নান, প্রকল্পের শিক্ষানবিশ, ওর্য়াড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও স্থানীয় জনগণ।

সিমুলেশনে উপস্থিত ব্যক্তিরা আরও জানতে পারে স্থানীয় সম্পদ দক্ষতার মাধ্যমে ব্যবহার করে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করতে হয়, উদ্ধার কাজ সম্পাদন করা, আহত ব্যক্তিতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ইত্যাদি।

জানা গেছে, সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন ভেভলপমেন্ট (সিডিডি) ১৯৯৬ সাল থেকে দেশি বিদেশি সংস্থার সাথে প্রতিবন্ধী মানুষের অন্তর্ভুক্তিতা নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে আসছে। সিডিডি, সিবিএম এবং জিএফএফও’র, সহায়তায় কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর ইউনিয়নে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তমূলক ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে।

এ বিষয়ে যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, প্রতিবছর বন্যা, নদী ভাংগন ও খড়ায় আমার ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী মানুষ ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। সিডিডি আয়োজিত সিমুলেশনের মাধ্যমে দেখাতে পেলাম কিভাবে দুর্যোগকালীন সময়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ অন্যান্যদের অন্তর্ভুক্তমূলক আগাম সংকেত প্রদান করতে হয়, নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হয়, প্রতিবন্ধী মানুষ উদ্ধার কাজে কি কি কিভাবে সামগ্রী ব্যবহার করতে হয়। আমার ইউনিয়নে এইরকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা জন্য সিডিডিকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই।

তাছাড়াও সিডিডি’র এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে দুর্যোগ কালীন সময়ে প্রতিবন্ধী মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের দুর্যোগ ঝুঁকি কমানো যাবে বলে আমি মনে করি।

সিডিডি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ তারেক আহমেদ বলেন, আমরা জানি দুর্যোগ কালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারীরা। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় কি ভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে তা আমরা আজকের সিমুলেশনের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করলাম মাত্র। আসা করছি আজকের এই সিমুলেশন দেখে অনেকে উপকৃত হয়েছেন এবং ভবিষ্যত দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।