উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় এ জেলার গ্রামঅঞ্চলসহ শহরের জনপদ আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে ঘন কুয়াশায়।
রাতে ও সকালে টুপটাপ শব্দে ঝরছে শিশির। আর বেলা বাড়লেও এখন পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। ধানের শিষে শিশিরের ফোটা ফোটা পানি ও মাকড়সার জালে জমাট বাঁধা মুক্ত দানা ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন সকালই বলছে জেঁকে বসেছে শীত।
জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়া দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলি যে যার সাধ্য অনুযায়ী নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে। কারও কারও গরম কাপড় না থাকায় হালকা কাপড় পরিধান করে বেড়িয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে। ঠান্ডায় কাপছেন শিশুসহ বৃদ্ধরাও।
রোববার (১৩ নভেম্বর) কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়ি পৌর সভার বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, প্রচুর শীত পরছে বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে। ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজ করতে যাবো তাও পারছি না। কয়েকদিন ধরে খুবই শীত পরেছে। দেখেন ৯টা বাজতে গেল এখনো সূর্যের দেখা নাই।
ওই এলাকার আব্দুল মতিন বলেন, কয়েকদিন থেকে ভালোই ঠান্ডা পরছে। তবে আজ অনেক কুয়াশা পরছে রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন যানবাহন চলছে হেটলাইট জ্বালিয়ে। এই রকম কুয়াশা পরলে তো অবস্থা খারাপ আছে।
শীতের খোলা আকাশে ভাপা পিঠা বিক্রি করা জাবেদ আলী বলেন, গত কয়েকদিন পর আজ কুয়াশা বেশি পড়েছে।শীতের কারনে চলাফেরা কাজ কর্ম একটু অসুবিধা হলে ভাপা পিঠা বিক্রি ভালো হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন জানান, জেলায় আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আমাদের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।