সোহান আহমেদ ধর্মপাশা প্রতিনিধিঃ
নানাবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এক কিশোরী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার বিকেল তিনটার দিকে ওই কিশোরী থানায় এসে একই ইউনিয়নের জসীম উদ্দিন (১৮) নামের এক তরুণকে অভিযুক্ত করে মধ্যনগর থানার ওসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ ওইদিন রাত আটটার দিকে নিজ এলাকা থেকে জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন। মধ্যনগর থানা পুলিশ, এলাকাবাসী ও ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই কিশোরী (১৪) গত সোমবার দুপুরে (ঈদের দিন) নিজ বাড়ি থেকে পাশের একটি গ্রামে তার নানাবাড়িতে বেড়াতে যায়।
পরদিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই কিশোরী একাকী তার নানাবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। পথিমধ্যে ওই কিশোরীকে একা পেয়ে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা জসীম উদ্দিন (১৮) তাকে সজোরে টেনে মুখে গামছা চেপে ধরে সড়ক সংলগ্ন তাঁদের নিজেদের একটি ঘরে নিয়ে যায়।
পরে নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর পরই ওই তরুণ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরী বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানায়। মেয়েটির বাবা ঘটনাটি গ্রাম্য মাতব্বরদেরকে জানান।
কিন্তু ওই তরুণের পরিবারটি এলাকায় খুবই লাঠিয়াল প্রকৃতির হওয়ায় গ্রাম্য মাতব্বররা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ঠা করেন। গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছ থেকে সুবিচার না পেয়ে ওই কিশোরীর বড় ভাইসহ তাঁর স্বজনেরা কিশোরীকে নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে মধ্যনগর থানায় আসেন এবং এ ঘটনায় থানার ওসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগটি ওইদিনই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। মামলার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয় নিজ গ্রাম থেকে অভিযুক্ত আসামি জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। অভিযুক্ত ওই তরুণের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মধ্যনগর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ওই কিশোরী জসীম উদ্দিন (১৮) নামের এক তরুণকে আসামিকে করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।