ফজলুল করিম ফারাজী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম একটি দুর্ভিক্ষ কবলিত এবং কর্মহীন এলাকা। এই জেলার উন্নয়ন এবং বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
তাই আসন্ন ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেটে কুড়িগ্রামের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে আসন্ন বাজেটে কুড়িগ্রাম জেলার জন্য বিশেষ বরাদ্দ চেয়ে আজ (৮জুন, ২০২০) কুড়িগ্রাম জেলা ও উপজেলাগুলো সহ ইউনিয়ন পর্যায়ে চরাঞ্চলের গ্রামে গ্রামে লোকজন বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ফাঁকা রাস্তার মোড়ে, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের মাঠে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
এ প্রসঙ্গে রেল নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গনকমিটির প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, মঙ্গা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও দারিদ্র্য সীমার নীচে কুড়িগ্রাম জেলার অবস্থান হলেও এ জেলার প্রতি জাতীয় বরাদ্দের হার অনান্য জেলার তুলনায় অনেক কম।
তাই জেলা বাসীর প্রাণের দাবি এবার অন্তত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, উনার দেয়া পূর্ব প্রতিশ্রুতি পালন পূর্বক নিম্নোক্ত দাবিগুলো পূর্ণ করে মঙ্গার কবল থেকে কুড়িগ্রামবাসীকে মুক্ত করুন।
১. চরাঞ্চলে হাজার মেঃওয়াট এর সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোল।
২. ক্ষুদ্র ও গৃহভিত্তিক কারখানা, উপকরণ ও তার দর দামের জন্য ব্যবস্থা, কারিগরী জ্ঞান-দক্ষতা ও সুদবিহীন পর্যাপ্ত ঋণ দিতে হবে। বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৩. চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক বন গড়ে ওঠার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. ব্রহ্মপুত্রে পাওয়া খনিজ ভিত্তিক শিল্পায়ন করতে হবে।
৫. পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে হবে।
৬. চিলমারী পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালু, সোনাহাট স্থল বন্দর পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ চাই।
৭. জামালপুর থেকে রৌমারী পর্যন্ত রেল লাইন ও গ্যাস লাইন সম্প্রসারণ করতে হবে।
৮. চিলমারী নদীবন্দর, চিলমারী-সুন্দরগঞ্জ সেতুর কাজ দ্রুত সমাপ্ত করা।
৯. ঋণদানকারী ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির শাখা খোলা১০. বছরে ২ লক্ষ শ্রমিককে বিদেশে সরকারি খরচে পাঠানোর ব্যবস্থা এবং তাদের দক্ষতাকে পরে দেশে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা।
১১. চরাঞ্চলের জন্য কয়েকটি নৌ এম্বুলেন্স চালু করা।এবংকুড়িগ্রামের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা।
এসময় রেল নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির বিভিন্নস্তরের নেতারাসহ সর্বোস্তরের লোকজন উপস্তিত ছিলেন।