কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থতি স্বাভাবিক হয়ে মানুষ যখন বাধঁ রাস্তা ছেড়ে কেবল আশ্রয় নিয়েছে নিজ বাড়িতে ঠিক তখনি আবারও ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঅঞ্চল। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন।
হুমকীর মুখে পড়েছে জেলা সদরের হলোখানা ইউনিয়নের ভেরভেরি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বাঁধ রক্ষার দাবীতে মানব বন্ধন করেছে স্থানীয়রা। এদিকে প্রথম দফা বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুঃচিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের মানুষজন।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সদর উপজেলাসহ উলিপুর,চিলমারী ও রৌমারী,নাগেশ্বরী উপজেলার ৩০ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ আবারও বিপাকে পরেছেন। কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আইয়ুব ও তাজুল বলেন,এখনো আমাদের বাড়ির চারিদিকে পানি রয়েছে।
এ বন্যার পানি কমতে না কমতেই আবারও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের যে কি হবে বুঝতে পারছি না। পানিতে চলাফেরা করতে করতে পায়ে ঘা হয়ে গেছে ভাই। কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নটি সম্পুর্ণ পানি বন্দি ছিল।
কিছুটা পানি কমিয়ে যাওয়ার পর স্বস্তিতে ছিল মানুষ। আবারও পানি বৃদ্ধি কারণে দুঃশ্চিতায় রয়েছে এখানকার মানুষজন। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ১২ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি আবারো বিপদসীমা অতিক্রম করবে । জুলাইয়ের মাঝামাঝি আবারও মধ্য মেয়াদি বন্যার কবলে পড়তে পাড়ে কুড়িগ্রামের মানুষজন ।