কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ঘর-বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২ লক্ষাধিক বানভাসী মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
ত্রাণ স্বল্পতার কারনে চরম খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছে এসব বন্যা দুর্গত মানুষেরা। চারনভুমি তলিয়ে থাকায় তীব্র হয়ে উঠছে গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবদুল্লাহ স্বাধীন বাংলা ১৬. কম কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি কে বলেন,, বন্যার পানি একটু কমতে শুরু করেছে।
তবে এখনো আমার উপজেলায় ৮৫ ভাগ মানুষ বানি বন্দি জীবন যাপন করছেন। আমার উপজেলায় যে পরিমাণ সহায়তা দেয়ার প্রয়োজন সেই হিসাবে তেমন বরাদ্দ পাচ্ছি না বলে জানান ওই উপজেলা চেয়ারম্যান। কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, গত ২০ জুন থেকে এ পর্যন্ত কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম জানান, এ পর্যন্ত কুড়িগ্রামের বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১৭০ মেট্রিক টন চাল, জিআর ক্যাশ ৯ লাখ টাকা, ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তা বিতরণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার সাথে সাথে রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গন তীব্র হয়ে উঠছে বলে জানান তিনি।