জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানায়,জেলার ৯০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৬ হাজার ২৮৪ জন বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।ইতোমধ্যে সদর উপজেলার জামতলী এলাকায় একটি ব্রিজ,সরিষাবাড়ি উপজেলার শুয়াকৈর ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত ২০০ মিটার ঝিনাই ব্রিজের মাঝখানের তিনটি স্পেন ও শিশুয়া ঝিনাই ব্রিজের ৩০ মিটার সংযোগ সড়ক তীব্র স্রোতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মাদারগঞ্জে ৭০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে গেছে।এছাড়াও ১৫ হাজার বসতঘর পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে।৬৭৭ টি গ্রামের প্রায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৪ টি পরিবার পানিতে নিমজ্জিত।পানির নিচে তলিয়ে আছে ৫ হাজার ৯৭টি নলকূপ ও ৬ হাজার ২৯৫ টি ল্যাট্রিন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫১০ মেট্রিকটন চাল,নগদ ২৪ লাখ টাকা, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার,২ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৬ লাখ টাকার গো খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।জেলায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
জামালপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বন্যা দূর্গত এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ৮৪ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।