November 22, 2024, 8:45 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

মুক্ত বাতাসে বেঁচে থাকতে চায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম রিয়া।

তাপস কর,ময়মনসিংহ
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, জুলাই ৩১, ২০২০
  • 555 দেখুন
হা-ডু-ডু’তে দমধরা, বউচি’তে ডানপিটে শিশুটি ছিল সবার সহযোগী এক বান্ধবী। হই-হল্লা করে বাড়িটাকে মাতিয়ে রাখা মেয়েটি ছিল হাসি-খুশি প্রাণ সঞ্চালক। বন্ধু আর বান্ধবীদের পছন্দের কাজটি গুছিয়ে সাজিয়ে দিত এই মেয়েটি।
আজ ফ্যাকাশে তার শরীরের রঙ। বিবর্ণ অবয়বে বেঁচে থাকার নিশ্চুপ এক আকুতি। সেই মেয়েটির নাম সাদিয়া ইসলাম রিয়া। সে ক্যান্সারে আক্রান্ত। পেট কেটে বের করা হয়েছে ৩ কেজি ৭৫ গ্রাম ওজনের একটি টিউমার। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া।
তার বাবা মো. রফিকুল ইসলাম পেশায় একজন সিএনজি চালক। মা সানোয়ারা মবিন গৃহিণী। বাস করেন পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায়। নেই মাথাগোঁজার একটু ঠাঁইও। সেখানে দুই মেয়ে আর এক কন্যাকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কোভিড-১৯ দুর্যোগের আগে ডাল-ভাতে চলছিল সুখের সংসার। হঠাৎ পেট ব্যথা মেয়ের।
সেই ব্যথার যন্ত্রণায় শুধু বাবা-মা নয়, প্রতিবেশীরাও কেঁদেছেন। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসায় ভালো না হওয়ায় ছুটে চলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হওয়ায় পাঠানো হয় মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে। সেখানে তার অপারেশনের বের করা হয় ৩ কেজি ৭৫ গ্রাম ওজনের একটি টিউমার।
টিউমার অপারেশনের পর সারা শরীরে ছড়িয়ে যায় ক্যান্সারের জীবাণু। চিকিৎসকরা বলেছেন, চিকিৎসাতে মেয়েটি ভালো হয়ে উঠবে। প্রয়োজন ১৫টি কেমো থ্যারাপি। কিন্তু সিএনজিচালক বাবার পক্ষে সেই কেমো দেয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই। মায়াবী চেহারায় আকাশের পানে তাকিয়ে থাকে রিয়া।
বাবার সামর্থ্য নেই, তাতে কী; সে বেঁচে উঠবেই। খোলা আকাশের নিচে মুক্ত বাতাসে বেঁচে থাকতে চায় রিয়া। তাকে সহযোগিতার জন্য ইতিমধ্যে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরাও এগিয়ে এসেছেন। শেষ হয়েছে ৫টি কেমো থ্যারাপি। আর ১০টি কেমোর জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩ লাখ টাকা। আর দৈনন্দিন ওষুধের জন্য দরকার ১ লাখ টাকা।
মাত্র ৪ লাখ টাকা হলেও বেঁচে যাবে রিয়া! রিয়ার হাসিমুখ দেখতে আপনিও সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। সেই সহযোগিতায় রিয়া আবারও হাসবে, খেলবে,লেখাপড়া করবে,ফিরবে প্রিয় বান্ধবীদের খেলার দলে।
তার বাবার সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গৌরীপুর শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে।
যার নং ৩৩০৯২০১০১৮৬৮৭

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102