কুড়িগ্রামের রৌমারী সিমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ২ দিন পর কবর থেকে শুক্রবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে উত্তোলন করা হয়েছে। গত ২দিন ধরে লাশটি পাহারা দিচ্ছিল পুলিশ। আদালতের অনুমতির পর তা উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীরুল ইসলাম, রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো.দেলওয়ার হাসান ইনাম, দাঁতভাঙ্গা বিজিবি’র কোম্পানী কমান্ডার নায়েক সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডাক্তার মোমেনুল ইসলাম প্রমুখ।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো.দেলওয়ার হাসান ইনাম জানান, লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য গত( ১১ আগস্ট) মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরইটালুকান্দা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আখিরুল ইসলাম ওরফে হাসিনুর (২২) নামের এক যুবক নিহত হন। ওইদিন ভোর রাতে তার বাড়ি চরইটালুকান্দা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে চুলকানীর খাল নামক স্থানে তাকে গোপনে দাফন করা হয়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গত ২দিন ধরে কবরটি পাহারায় রাখে পুলিশ। আখিরুল ইসলাম চরইটালুকান্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জনাজায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে চরইটালুকান্দা সীমান্তের ১০৫২-১০৫৩ আন্তর্জাতিক পেইন পিলারের নিকট দিয়ে গরু পাড়াপাড় শুরু করেন একদল চোরাকারবারি।
এ সময় ভারতের আসামের আলগা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। চোরাকারবারিরা পালিয়ে আসার সময় হঠাৎ করে পাজরে গুলিবিদ্ধ হন আখিরুল। সেখানেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরে সঙ্গীয়রা তাকে তুলে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে জামারপুর ৩৫ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন কমান্ডার এসএম আজাদ তাৎক্ষনিভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে না পারলেও এমন ঘটনা তিনি শুনেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, বিএসএফ’র গুলিতে যুবক নিহতের ব্যাপারে শুক্রবার দুপুরের দিকে একটি লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তিনি কিভাবে নিহত হয়েছেন।