উলিপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বসতভিটা হারিয়ে প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের নিদারুণ কষ্ট কর্মহীন পড়ায় মানবতা জীবনযাপন করছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালা ডোবা গ্রামের সংলগ্ন বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে তিন শতাধিক পরিবারের বসতভিটা আবাদি জমি দুটি মসজিদ ব্রহ্মপুত্রে নদীর করাল গ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
গত দু’মাস পূর্বে ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোর লোকজন নিয়ে বসবাস করার স্থান না পেয়ে অনেকে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন শাখা কার্যালয় চত্বরে, কড্ডার মোড় ও উত্তর বালাডোবা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
এসব পরিবারে কর্মহীন হয়ে পড়ায় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগ কার্যালয় আশ্রয় নেওয়া সোনাউল্লাহ , আমিরুল, আলম, জহুরা, রাশিদা এবং ওমেছা সহ বেশ কয়েকজনের সাথে এ প্রতিবেদককের কথা হলে তারা জানান।
ব্রহ্মপূত্র নদীর ভাঙ্গনে বসত ভিটা হারিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছি। বসতবাড়ি নির্মাণ করে থাকার মত স্থান নাই। তাছাড়া কর্মহীন হয়ে পড়ায় খাদ্য অভাবে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। সরকারিভাবে ঈদুল আযহার আগে আট দশ করে চাল চিড়া মুড়ি পেয়েছি।
আড়াই মাস থেকে আর কিভাবে চলব চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন যথাযথভাবে কোন খোঁজখবর নেয়নি বলে তারা জানান। স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল মন্ডল পৃথক পৃথকভাবে তাদের আইডি কার্ডের ফটোকপি নেওয়া হলেও বাস্তবতা কিছুই নেই।
এ ব্যাপারে শনিবার ২২ আগস্ট ইউপি সদস্য জামাল মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান ঈদের আগে চাল ছাড়া আর কিছু দিতে পারিনি তবে তারা থাকার মত স্থান না পেয়ে আওয়ামী লীগ অফিস কার্যালয় সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের খাদ্য অভাবের কথা স্বীকার করেন আমার হাতে না থাকলে আমি কি দেই।
এলাকার সচেতন মহল বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য দাবি জানিয়েছেন।