তবে কিছুদিন পর শুকলা এ বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায় এক বাসায় থাকার সুবাদে মিষ্টি ও আফসারের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আফসারের সাথে ঝগড়া শুরু করেন তার স্ত্রী রিপা। স্ত্রীকে মারপিটও করেন আফছার। এজন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি আফসারের বাসা থেকে বাবার বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধুলিয়াখালে চলে আসেন রিপা। পরদিন ফোন করে দুঃখ প্রকাশের পর রিপাকে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ।
জানান আফসার তবে রিপা ফোনে তার স্বামীকে জানান মিষ্টিকে মেরে ফেললে তিনি আসবেন। অনথ্যায় এ সংসারে ফিরবেন না স্ত্রীর অভিমান ভাঙাতে মিষ্টিকে হত্যায় সম্মত হয়ে যান আফছার পরে মৌলভীবাজারের বাসায় ফিরেন রিপা এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মিষ্টিকে সাথে নিয়ে আফছার ও তার স্ত্রী রিপা হবিগঞ্জের ধুলিয়াখালে আসেন। ওইদিন রাতেই তিনজন ফিরে যান চুনারুঘাটের পাচারগাঁওয়ে আফসারের পিতার বাড়িতে। খাওয়া-দাওয়া সেড়ে রাত দশটায় মিষ্টিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
চাটপাড়া হাওরে সেখানে একটি নির্জন স্থানে স্ত্রীর ইচ্ছায় মিষ্টিকে ধর্ষণ করেন আফছার। এক পর্যায়ে গলায় ওড়না পেছিয়ে মেয়েটিকে হত্যা করেন দু’জনে। পরে সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিষ্টির থুতণীতে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। কিছুক্ষণ পর রক্তমাখা হাত ধুয়ে স্ত্রী রিপাকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন আফছার। খুনীরা মিষ্টির সাথে থাকা মোবাইল ও ভ্যানেটি ব্যাগ সাথে নিয়ে নেন। ওইদিন রাতেই দু’জন পুনরায় মৌলভীবাজারের বাসায় ফিরেন।
পরে মিষ্টির মোবাইল ফোনটি মৌলভী বাজার শহরে এক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করা হয়। পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন তখনও মেয়েটির পরিচয় মেলেনি। এনিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে ৭ মাস পর ক্লু লেস এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন হল।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান।
নানা কৌশল অবলম্বন শেষে আফছারের মাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার রহস্যে পৌঁছায় পুলিশ। পরে নারী কনস্টেবলকে দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের অভিনয়ের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার আফছার ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাঁচি ও মিষ্টির বিভিন্ন জিনিস-পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।