হবিগঞ্জের উপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। বাহিরে কাজ করাতো দূরের কথা ঘরে থেকেও প্রাণ যায় যায় অবস্থা এ দূর্বিসহ অবস্থায় ‘মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে নাজেহাল অবস্থায় দাড়িয়েছে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা।
জেলাবাসীর অভিযোগ- প্রচন্ড গরমের মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে থাকে কিন্তু লোডশেডিংয়ের মাত্রা অতিরিক্ত হওয়ায় সেই স্বস্তিও মিলছে না তৃষ্ণার্থ প্রাণে। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি।
বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের এমন কর্মকান্ডে জনসাধারণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে- জেলায় বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই কিন্তু গরমের তীব্রতা বাড়লে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। সেই চাহিদার কারণে ট্রান্সমিটার লোড মানতে না পারায় বারবার লাইন আউট হয়ে যাচ্ছে সেটি মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। জানা যায়- গত ৩/৪ দিন ধরে হবিগঞ্জে প্রচন্ড গরম পড়েছে এতে দূর্বিসহ হয়ে দাড়িয়েছে জনজীবন বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
প্রচন্ড তাপদাহের অসয্য যন্ত্রনা সহ্য করে জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে মাঠে-ঘাটে আবার বাসা বাড়িতে থেকেও গরমে অনেকের নাভিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মরারা উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বাসা বাড়িতে থেকেও স্বস্তি মিলছে না মানুষের। একটু পরপরই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ভোগান্তির মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায় শুধু দিনের বেলায় নয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় জেলাবাসীর দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে রাতেও একটু পরপরই লোডশেডিংয়ের অভিযোগ বিস্তর।
জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। হবিগঞ্জ সদর এলাকার এলাকার বাসিন্দা লতিফ বলেন-দিনের বেলায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়াতে যতটা ভোগান্তি বাড়ায় রাতের বেলা এর কয়েকগুণ বেশি হয়। রবিবার দিবাগত রাতেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কয়েকবার ঘুম থেকে উঠে বাহিরে যেতে হয়েছে। এছাড়া খাবারের সময় নামাজের সময়ও বিদ্যুতের আসা যাওয়া অব্যাহত থাকে তিনি আরও বলেন- ‘আমাদের যেমন-তেমন শিশুরা আরও বেশি সমস্যায় রয়েছে।
বিদ্যুৎ চলে গেলে তারা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করে সবুজবাগ এলাকারা ব্যবসায়ি মো. সায়েম বলেন-রাতে যে কতবার বিদ্যুৎ গেছে তার কোন হিসেবই নেই। এর মধ্যে ভোরবেলা বিদ্যুৎ নিয়েছেতো আর দেয়ার নামই নেই সারারাত জেগে থেকে সারাদিন কি কাজ করা যায়। একই এলাকার বাসিন্দা ফয়েজ চৌধুরী দাবি করেন বারবার বিদ্যুৎ অফিসে কল দিলেও কোন সাড়া পাওয়া যায় না। তিনি বলেন-গ্রাহকদের সমস্যা যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন বিষয়ই না নিজেরে মতো করে বিদ্যুৎ দেয়া-নেয়া করাই তাদের কাজ।
অফিসে কল দিলেও কেউ ফোন রিসিভ করেন না তিনি বলেন-কিছুক্ষণ পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ঘরের টিভি ফ্রিজ কম্পিউটারের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস অকেজো হয়ে যাচ্ছে
এদিকে, অনেকে দাবি করছেন হবিগঞ্জে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে তাই বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন দাবি করলেন ভিন্ন বিষয় তিনি বলেন- হবিগঞ্জে বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই। তবে প্রচন্ড গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি অতিরিক্ত বৈদ্যুতির পাকার সাথে এসি ফ্রিজের চাহিদাও বেড়েছে।
যার কারণে বিদ্যুতের যে টান্সমিটার রয়েছে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে লোড মানছে না। ফলে কিছু সময় পরপরই লাইন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তিনি আরও বলেন-বন্ধ হয়ে যাওয়া লাইন সচল করতে অন্য সংযোগগুলোও অনেক সময় বিচ্ছিন্ন করতে হয়, যার কারণে লোডশেডিং বেড়েছে তবে জনগণকে এ সমস্যাটা বুঝতে হবে কারণ এটি মানব সৃষ্ট কোন সমস্যা নয়।