হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় বকেয়া বেতন দেয়ার দাবীতে এবার মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে মেয়র ছালেক মিয়া ও পৌর কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন যাবত বেতন ভাতাদি না দেয়ায় ও বার বার মেয়রের সরনাপন্ন হয়েও কোন সুরাহা না হওয়ায় এবং মেয়র কর্তৃক লাঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছে পৌর কর্মচারীরা।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। এসময় তারা তাদের ন্যায্য অধিকার না পেলে কঠোর আন্দোলনেরও হুশিয়ারি প্রদান করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক সুশীল বশার জানান পৌর সভার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন কর্মচারীকে ৭ থেকে ৮ মাস যাবত বেতনসহ কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন না মেয়র ছালেক মিয়া। বার বার মেয়রের কাছে গিয়ে বকেয়া বেতনের জন্য বলা হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো কর্মচারীদের লাঞ্চিত করাসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। এছাড়াও মেয়রের পছন্দের কর্মচারীরা ঠিকই বেতনভাতাদি পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি আরো জানান দীর্ঘদিন যাবত বকেয়া বেতন না পেয়ে কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তাই এ বিষয়টি নিয়ে সকালে পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব সিরাজুল ইসলামের কাছে গেলে তিনিও কোন সুরাহা করতে পারেননি, তাই বাধ্য হয়েই আমাদেরকে আন্দোলনে নামতে হয়েছে পালন করতে হয়েছে কর্মবিরতি।
সুশীল বশার আরো জানান বিষয়টি নিয়ে তারা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দেবেন এবং তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে মাঠে থাকবেন এছাড়াও পৌর সভার কর আদায়কারী দেবাশীষ দেব কর নির্ধারক সুজিত কুমার দত্ত কার্য সহকারী আজিজুল হক কার্য সহাকারী রিপন মিয়া।
ঠিকাদানকারী কামাল উদ্দিন ড্রাইভার সেবুল মিয়া, ইউনুছ মিয়া ও জাহির মিয়াসহ কর্মবিরতিতে যোগদেন আরো ১৫ থেকে ২০ জন কর্মচারী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র ছালেক মিয়া জানান, পৌর সভার নিজস্ব আয় থেকে কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়।
এই মুহুর্তে শুধু আমার পৌরসভা নয় সারা বাংলাদেশে প্রায় ২ শতাধিক পৌরসভায় অনেক কর্মচারীর বেতন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও বিক্ষোব্ধ কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় উত্তেজিত হয়ে অফিস ভাংচুর করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি
মেয়র আরোও বলেন যারা আন্দোলন করছেন তারা আমার পুবের্র মেয়রের সময় চাকরি নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কর্মস্থলে ঠিক মতে উপস্থিত হয় না আবার কেউ কেউ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নিয়েছে। তাই আমার প্রতিদ্ধন্ধি লোকদের ঈশারায় তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
এমন অবস্থা চলতে থাকলে পৌর নাগরিকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে মনে করছেন সচেতন মহল তাই এ বিষয়ে দ্রুত সমাধাণ করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা।