এলজিইডিতে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর আলী
প্রকাশ: ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:০৭ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বিডি ২৪ নিউজ রিপোর্ট: পিআরএলকে সামনে রেখে আউট সোর্সিং হিসেবে ২৫০ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেন এলজিইডির আরইউটিডিপি প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মঞ্জুর আলী। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে তার পিআরএল। তাই শেষ সময়ে যা পাই লুটেপুটে খাই পন্থা অবলম্বনে টু পাইস অবৈধ উপার্জনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জানা যায় দীর্ঘ চাকুরী জীবনে দুর্নীতিতে রেকর্ড সৃষ্টিকারী এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রকল্পে ২৫০ জনকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দিলেও তার আপন সহোদর সহকারি প্রকৌশলী রাজুর মাধ্যমে প্রায় ৪ শতাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হারে ঘুষ আদায় করে প্রায় ২০ কোটি টাকা অবৈধ উপার্জন করেছেন। ২৫০ জনকে নিয়োগ দিলেও বাকি প্রায় দুইশতাধিক প্রার্থী তাকে ঘুষ দিয়েও নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন।
এ নিয়ে গোটা এলজিইডি ভবনই উত্তপ্ত। প্রতিদিনই নিয়োগ বঞ্চিত ঘুষ দাতারা ভীড় জমাচ্ছেন প্রকৌশলী মনঞ্জুর আলীর দপ্তরে। ঘুষের টাকা ফেরত চাইতে গিয়েও অনেকেই দৈহিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মুঞ্জুর আলীর পোষা গুন্ডাদের হাতে। ঘুষের রেট ছিল সহকারী প্রকৌশলী পদে ১০ লাখ, উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ৮ লাখ, কার্যসহকারী, সোসিওলজিস্ট, হিসাব সরকারী পদে ৫ লাখ। সুত্র মতে জানা যায় প্রকৌশলী মঞ্জুর আলী তার আপন সহোদর রাজুকে এলজিইডিতে ইতোপূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী-৪ প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী ও তার স্ত্রী প্রকৌশল বিষয়ে লেখাপড়া না জানলেও তাকে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন। রাজু অফিসিয়াল কাজে ফাঁকি দিয়ে সর্বদায় বড় ভাই মঞ্জুর আলীর নামে ঘুষ বানিজ্য করে বিত্তশালী হয়েছেন। ঢাকা শহরেই রয়েছে এই রাজুর ১৪ টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অপরদিকে প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর আলী রয়েছে প্রায় ৩০ টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট।
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তার দেশের বাড়ী দিনাজপুর হবার সুবাদে নিজেকে বিএনপি’র বড় বড় নেতাদের ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে দু’হাতে অবৈধভাবে কামিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈধ আদেশ-নির্দেশও তিনি থোড়াই কেয়ার করে আসছেন।
জানা যায়, অতি সম্প্রতি প্রকৌশলী মনজুর আলী ২০১ কোটি টাকার গাড়ি ক্রয় টেন্ডারেও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে অদক্ষ একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে ঘুষের টাকা জায়েজ করতে তড়িঘড়ি করে কার্যাদেশ দেয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও প্রকল্পে কনসালটেন্ট নিয়োগের কাজ পায় অ্যাকুয়া লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠান। ৪৮ জনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা হারে ঘুষ নিয়ে তাদেরকে সুপারিশ করে ঐ কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সর্বোপরি মঞ্জুর আলীর এহেন অপকর্মে এলজিইডি ভবনে বর্তমানে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। চাকরী বঞ্চিতরা অবৈধভাবে সাম্প্রতি কালের নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে এলজিইডি উপদেষ্টা সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন