খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩টি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় হাজারের বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ির সদর থানায় ১টি এবং রাতে গুইমারা থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরিফিন জুয়েল।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মহাজন পাড়া, স্বনির্ভর ও উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮শ’ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গুইমারা থানার ওসি মোঃ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুইমারায় প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেলে ৪টার মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা ও অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনায় এবং পরবর্তীতে ধান খেত থেকে ৩ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, হত্যা মামলায় শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি ও সহিংসতা, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আড়াইশ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। হত্যার শিকার পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যরা মামলা না করায় গুইমারায় থানা উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে জুম্ম ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠে খাগড়াছড়ি। যদিও পরবর্তীতে ৩সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরীক্ষায় কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের কোন আলামত পায়নি চিকিৎসক দল।