|
কর বিভাগে ঘুসের রাজা
খুলনার কর কর্মকর্তা নেফাউলের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা ঘুস নেয়ার অভিযোগ
|
|
![]() মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল : বরিশালের সাবেক উপ কর কমিশনার মোঃ নেফাউল ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে দশ কোটি টাকা ঘুস নেয়ার অভিযোগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ডাঃ এনামুল হক নামে একজন ব্যক্তি এনবিআরের চেয়ারম্যানের নিকট এই লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,৩৩ ব্যাচের উপ কর কমিশনার মোঃ নেফাউল ইসলাম সরকার সরকারি রাজস্ব আদায়ের টার্গেট নয় তিনি নিজের জন্য ডাক্তার ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ভয়ংকর পদ্ধতি অবলম্ভন করে ঘুস নিতেন।বরিশাল কর অঞ্চলে কর্মরত থাকাকালিন সময়ে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কর আদায়ের নামে ঘুস নেয়া ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। ডাঃ এনামুল হকের দেয়া লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে,ঝালকাঠির মেসার্স জাবেদ ফ্লাওয়ার মিলসটির ফাইল ছিল বরিশাল সার্কেল -১(কোম্পানীজ) এ ।২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ছয় বছরের ব্যাংক তল্লাশি দিয়ে ১৬০০ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা পাওয়া যায়।ব্যাংকে কিভাবে এত টাকা জমা হলো এবং নামমাত্র কর দিয়ে কিভাবে রেহাই পেল যা তদন্ত করলে সকল গোমড় ফাঁস হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।নামমাত্র করধার্য্য করার কারনে এই মিল মালিক থেকে উপ কর কমিশনার মোঃ নেফাউল ইসলাম নিয়েছেন ঘুস হিসেবে দশ কোটি টাকা। এছাড়া অভিযোগে বরিশালের আরিফ মেমোরিয়াল ক্লিনিক এর নজরুল ইসলাম,নাসরিন জাহান ও আরিফ মেমোরিয়াল ক্লিনিক এন্ড হসপিটাল নামের এই তিনটি ফাইলের ব্যাপারেও পরীক্ষা করার আবেদন করা হয়। বরিশাল থেকে তাকে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা কর অঞ্চল -১৫ তে বদলী করা হয়।ঢাকায় কর অঞ্চল ১৫ এর অধীনে সার্কেল ৩১৬,৩১০ (কোম্পানীজ) তে কর্মরত থাকাকালীন ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রোষানলের শিকার হয়েছেন।তিনি কর কর্মকর্তাদের এক নেতা ছিলেন।সম্প্রতি তিনি পদত্যাগও করেছেন।তিনি রাজস্ব আদায়ের থেকে নিজের সহায় সম্পদ বাড়াতে ঘুসের জন্য ছিলেন বেপরোয়া।তাকে ঢাকা থেকে খুলনায় বদলী করা হয়েছে।খুলনা কর কমিশনার কার্যালয়ের অধীনে সার্কেল -১ (কোম্পানীজ),সার্কেল -৮ (খুলনা সদর) এ উপ কর কমিশনার পদে কর্মরত রয়েছেন। এনবিআর বিলুপ্ত করে মে মাসে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ জারির পর শুরু হওয়া আন্দোলনের অন্যতম নায়ক ছিলেন নেফাউল ইসলাম সরকার। অধ্যাদেশ জারির পরে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন নেফাউল ইসলামসহ বিতর্কিত কর্মকর্তারা।অনেককে বাধ্যতামুলক অবসর দেয়া হলেও নেফাউলের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। নেফাউলের বিরুদ্ধে তখন সরকার বিরোধী আন্দোলনে জনমত গঠনেরও অভিযোগ উঠেছিল। এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন এ নেফাউল ইসলাম সরকার।তিনি কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসুচীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। নেফাউল ইসলাম সরকারকে নিয়ে বরিশালের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ জহিরুল ইসলাম তার ফেসবুকে একটি লেখা প্রকাশ করেন। লেখাটি হুবহু দেয়া হল- মোঃ নেফাউল ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে তার মোবাইলে কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।ফলে তার বক্তব্য গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। |