
বিডি ২৪ নিউজ অনলাইন: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নে AMV,BBDO নামে একটি প্রাইভেট অনলাইন প্ল্যাটফর্মের নামে ভুয়া অ্যাপ, ওয়েবসাইট খুলে ‘সহজ আয়’ বিনিয়োগে দ্বিগুণ লাভ’ বা ‘কাজ করে টাকা আয়’র লোভ দেখিয়ে ও লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
(৭ ডিসেম্বর) দুপুরে দুধল ইউনিয়নের কবিরাজ গ্রামে AMV,BBDO নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে বেকার যুবক, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের আকৃষ্ট করার জন্য আয়োজ করা হয় ভুরিভোজের।
আর এই আয়োজন ও AMV,BBDO নামে একটি প্রাইভেট অনলাইন প্ল্যাটফর্মের নামে ভুয়া অ্যাপ পরিচালনা করে আসছেন দুধল ইউনিয়নের কবিরাজ গ্রামের রুস্তুম আলী হাওলাদারের পুত্র ইয়ামিন হাওলাদার। তার নেতৃত্বে ভুরিভোজের অনুষ্ঠানে বাকেরগঞ্জ উপজেলা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
পটুয়াখালী থেকে আসা সংস্থার সাথে জড়িত মিরাজ ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই সংস্থা আমি সদ্য নতুন জয়েন করেছি এবং আমি পটুয়াখালী থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে এসেছি। তিনি আরো বলেন এইসংস্থার কর্মরত ব্যক্তিরা আমাকে বলেছে আমি যদি ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য জয়েন করাতে পারি তাহলে আমার বেতন করা হবে ১০,৫০০ টাকা।
স্থানীয়রা জানায়, সংস্থাটির প্রতিনিধিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেকার যুবক-যুবতীদের AMV,BBDO নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া আশ্বাস দিয়ে আসছে। তবে সদস্য হতে হলে প্রথমে ৩ হাজার টাকা করে জমা দিতে হবে।
সচেতন মহলের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতারক চক্রটি প্রথমে ভুক্তভোগীদের কাছে ভুয়া নিয়োগপত্র, নিয়োগ নিশ্চিতকরণ স্লিপ ও তথাকথিত প্রশিক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে। পরে ধাপে ধাপে ৩ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ‘প্রসেসিং ফি’ ও ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’ বাবদ টাকা নেয়। টাকা দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে মধ্য কাজ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই সাহসের অভাবে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারছেন না, তবে চক্রটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইয়ামিন হাওলাদার জানান, এটি একটি বিদেশি সংস্থা। বাকেরগঞ্জ এলাকায় আমি দায়িত্বে রয়েছি। আমাদের AMV,BBDO নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দ্রুত আয়ের পথ খুঁজে পাওয়া যায়। এখানে কোন প্রতারণা করা হচ্ছে না।
এদিকে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কোন প্রকার প্রতারণ প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এই বিষয়টি বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রুমানা আফরোজকে বারবার জানানো হলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।