ভূমি কর্মকর্তার দম্পতির বিরুদ্ধে ১৮ বছরে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
অনলাইননিউজ: ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাজেট ও অডিট শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা ও তাঁর স্বামী সাখাওয়াত হোসেন ভূঁঞার নামে বিপুল সম্পদ গড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। দুদকে জমা হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ বছরে ঘুষ, দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে তারা আটতলা ভবন, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বাণিজ্যিক স্পেস এবং প্লটের মালিক হয়েছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এসব সম্পদের একটি বড় অংশ বিক্রি করে বিদেশে অর্থ পাচারও করা হয়েছে।
পারভীন সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, তাঁর নিজের নামে থাকা সম্পত্তি আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা আছে এবং তিনি পৈতৃক সূত্রে তিনটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। তবে স্বামীর সম্পত্তি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, তিনি এক সময় ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন এবং তার আয় থেকে স্বামীর নামে সম্পদ ক্রয় করা হয়েছে। স্বামী বর্তমানে বেকার হওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন।
দুদকে জমা হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, পারভীন ও সাখাওয়াত দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ঘুষ-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে বড় ধরনের বিত্ত অর্জন করেছেন। একজন সাধারণ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে এত সম্পদ কিভাবে অর্জিত হয়েছে তা তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, সাখাওয়াত হোসেনের নামে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভূমি পল্লী আবাসন প্রকল্পের একটি প্লটে আটতলা ভবন রয়েছে। এই ভবনের তিনতলা ফ্লোরটি এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। এরপর প্রতারণার মাধ্যমে পুরো ভবনটি স্বামী নিজের নামে নামজারি করেন এবং পরে ফ্ল্যাটটি অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। এই কেনাবেচার দলিলে পারভীন সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন।
রাজধানীর মিরপুর, পর্বতা, মালিবাগ এবং পূর্বাচলের বিভিন্ন এলাকায় পারভীন ও স্বামী বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বাণিজ্যিক স্পেস এবং প্লট ক্রয় করেছেন। এছাড়া ব্যাংকে এফডিআর, ডিপিএস এবং বিভিন্ন সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব সম্পদের বড় অংশ বিক্রি করে বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে।
এক ব্যক্তি সাংবাদিককে জানান, পারভীন ও স্বামী মিলেমিশে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করছেন এবং সম্ভবত বিক্রির টাকা বিদেশে পাচার করছেন।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযোগটি দুদকের এখতিয়ারভুক্ত। এটি যাচাই-বাছাই কমিটি (যাবাক) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।